৬৫/৪/১০. অধ্যায়ঃ
আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আর যদি তোমরা পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ শৌচ স্থান থেকে আসে ..........।’’ (সূরাহ আন-নিসা ৪/৪৩)
صَعِيْدًا}: وَجْهَ الْأَرْضِ وَقَالَ جَابِرٌ كَانَتْ الطَّوَاغِيْتُ الَّتِيْ يَتَحَاكَمُوْنَ إِلَيْهَا فِيْ جُهَيْنَةَ وَاحِدٌ وَفِيْ أَسْلَمَ وَاحِدٌ وَفِيْ كُلِّ حَيٍّ وَاحِدٌ كُهَّانٌ يَنْزِلُ عَلَيْهِمْ الشَّيْطَانُ وَقَالَ عُمَرُ : {الْجِبْتُ} : السِّحْرُ، {وَالطَّاغُوْتُ} : الشَّيْطَانُ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ : {الْجِبْتُ} بِلِسَانِ الْحَبَشَةِ شَيْطَانٌ. {وَالطَّاغُوْتُ} : الْكَاهِنُ.صَعِيْدًا-মাটির উপরিভাগ। জাবির (রাঃ) বলেন, যে সকল তাগূতের কাছে তারা বিচারের জন্য যেত তাদের একজন ছিল বুহাইনাহ গোত্রের, একজন আসলাম গোত্রের এবং এভাবে প্রত্যেক গোত্রে এক-একজন করে তাগূত ছিল। তারা হচ্ছে গণক। তাদের কাছে শয়তান আসত।‘উমার (রাঃ) বলেন, الْجِبْتُ-জাদু, وَالطَّاغُوْتُ-শায়তবন। ‘ইকরামাহ (রাঃ) বলেন, হাবশী ভাষায় শায়ত্বনকে الْجِبْتُ বলা হয়। আর গণককে طَّاغُوْتُ বলা হয়।
সহিহ বুখারী : ৪৫৮৩
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৪৫৮৩
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ هَلَكَتْ قِلَادَةٌ لِأَسْمَاءَ فَبَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيْ طَلَبِهَا رِجَالًا فَحَضَرَتْ الصَّلَاةُ وَلَيْسُوْا عَلَى وُضُوْءٍ وَلَمْ يَجِدُوْا مَاءً فَصَلَّوْا وَهُمْ عَلَى غَيْرِ وُضُوْءٍ فَأَنْزَلَ اللهُ يَعْنِيْ آيَةَ التَّيَمُّمِ.
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার কাছ থেকে আসমা (রাঃ)-এর একটি হার হারিয়ে গিয়েছিল। সেটা খোঁজার জন্য রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কয়েকজন লোক পাঠিয়েছিলেন। তখন সলাতের সময় হল, তাদের কাছে পানি ছিল না। তারা উযূর অবস্থায় ছিলেন না আবার পানিও পেলেন না। এরপর বিনা অযুতে সলাত আদায় করে ফেললেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা তায়াম্মুমের নিয়মবিধি অবতীর্ণ করলেন। [৩৩৪] (আ.প্র. ৪২২২, ই.ফা. ৪২২৫)