৬২/৭. অধ্যায়ঃ

‘উসমান ইব্‌নু আফ্‌ফান আবূ ‘আম্‌র কুরায়শী (রাঃ) –এর ফযীলত ও মর্যাদা।

নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, রূমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। ‘উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো বলেন, যে বিপজ্জনক যুদ্ধে যুদ্ধের মাল–সামানার ব্যবস্থা করবে তাঁর জন্য জান্নাত। ‘উসমান (রাঃ) তা করে দেন।

সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৬৯৬

حَدَّثَنِيْ أَحْمَدُ بْنُ شَبِيْبِ بْنِ سَعِيْدٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ يُونُسَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِيْ عُرْوَةُ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الْخِيَارِ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوْثَ قَالَا مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ عُثْمَانَ لِأَخِيْهِ الْوَلِيْدِ فَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيْهِ فَقَصَدْتُ لِعُثْمَانَ حَتَّى خَرَجَ إِلَى الصَّلَاةِ قُلْتُ إِنَّ لِيْ إِلَيْكَ حَاجَةً وَهِيَ نَصِيْحَةٌ لَكَ قَالَ يَا أَيُّهَا الْمَرْءُ قَالَ مَعْمَرٌ أُرَاهُ قَالَ أَعُوْذُ بِاللهِ مِنْكَ فَانْصَرَفْتُ فَرَجَعْتُ إِلَيْهِمْ إِذْ جَاءَ رَسُوْلُ عُثْمَانَ فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ مَا نَصِيْحَتُكَ فَقُلْتُ إِنَّ اللهَ سُبْحَانَهُ بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ وَكُنْتَ مِمَّنْ اسْتَجَابَ لِلهِ وَلِرَسُوْلِهِ فَهَاجَرْتَ الْهِجْرَتَيْنِ وَصَحِبْتَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيْ شَأْنِ الْوَلِيْدِ قَالَ أَدْرَكْتَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لَا وَلَكِنْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا يَخْلُصُ إِلَى الْعَذْرَاءِ فِيْ سِتْرِهَا قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ اللهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ فَكُنْتُ مِمَّنْ اسْتَجَابَ لِلهِ وَلِرَسُوْلِهِ وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ وَهَاجَرْتُ الْهِجْرَتَيْنِ كَمَا قُلْتَ وَصَحِبْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبَايَعْتُهُ فَوَاللهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلَا غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ أَبُوْ بَكْرٍ مِثْلُهُ ثُمَّ عُمَرُ مِثْلُهُ ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ أَفَلَيْسَ لِيْ مِنْ الْحَقِّ مِثْلُ الَّذِيْ لَهُمْ قُلْتُ بَلَى قَالَ فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيْثُ الَّتِيْ تَبْلُغُنِيْ عَنْكُمْ أَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الْوَلِيْدِ فَسَنَأْخُذُ فِيْهِ بِالْحَقِّ إِنْ شَاءَ اللهُ ثُمَّ دَعَا عَلِيًّا فَأَمَرَهُ أَنْ يَجْلِدَهُ فَجَلَدَهُ ثَمَانِيْنَ

‘উবাইদুল্লাহ ইব্‌নু আদী ইব্‌নু খিয়ার (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ

মিসওয়ার ইব্‌নু মাখরামা ও ‘আবদুর রাহমান ইব্‌নু আসওয়াদ ইব্‌নু ‘আবদ ইয়াগুস (রহঃ) আমাকে বললেন যে, ‘উসমান (রাঃ) এর সঙ্গে তাঁর (বৈপিত্রিয় ভাই) অলীদের ব্যাপারে আলোচনা করতে তোমাদের কিসে বাধা দেয়? লোকেরা তার সম্পর্কে নানারূপ কথাবার্তা বলছে। ‘উসমান (রাঃ) যখন সলাত আদায়ের উদ্দেশে বের হলেন তখন আমি তাঁর নিকটে গিয়ে বললাম, আপনার সঙ্গে আমার একটি দরকার আছে এবং তা আমি আপনার ভালোর জন্যই বলবো। ‘উসমান (রাঃ) বললেন, ওহে, আমি তোমা হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি। আমি তাদের নিকট ফিরে আসলাম। তৎক্ষণাৎ ‘উসমান (রাঃ) –এর দূত এসে হাযির হলো। আমি তার নিকট গেলাম। তিনি বললেন, বল, তোমার নাসীহাত কী? আমি বললাম, আল্লাহ্‌ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন। কুরআন তাঁর উপর অবতীর্ণ করেছেন। আপনি ঐ সকলের একজন যাঁরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। আপনি উভয় হিজরাত করেছেন এবং আপনি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর চরিত্রের মাধূর্য লক্ষ্য করেছেন। অলীদ সম্পর্কে লোকেরা নানা ধরনের কথাবার্তা বলাবলি করছে। ‘উসমান (রাঃ) আমাকে বললেন, তুমি কি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর দর্শন পেয়েছ? আমি বললাম, না। তবে তাঁর ‘ইলম আমার পর্দানশীন কুমারীগণের নিকট যখন পৌঁছেছে তখন আমার নিকট অবশ্যই পৌঁছেছে। ‘উসমান (রাঃ) হামদ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন। আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূলের ডাকে সাড়াদানকারীদের মধ্যে আমিও ছিলাম। তাঁর আনা শরীয়তের উপর আমিও ঈমান এনেছি। আমি উভয় হিজরাত করেছি, যেমন তুমি বলছ। আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) –এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়’আত করেছি। আল্লাহ্‌র কসম, আমি তাঁর অবাধ্যতা করিনি ও তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। অতঃপর আল্লাহ তাঁর রসূলকে দুনিয়া হতে নিয়ে গিয়েছেন। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) –এর সঙ্গে ঐরূপই সম্পর্ক ছিল। অতঃপর ‘উমার (রাঃ) –এর সঙ্গেও তেমনই সম্পর্ক ছিল। অতঃপর আমার কাঁধে খিলাফতের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমার কি ঐ সকল অধিকার নেই যা তাঁদের ছিল? আমি বললাম হাঁ, অবশ্যই। তিনি বললেন, তাহলে তোমাদের পক্ষ হতে কী সব কথাবার্তা আমার নিকট পৌঁছেছে? অবশ্য অলীদের ব্যাপারে তুমি যা বলছ অতি শীঘ্র আমি সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিব। এ বলে তিনি ‘আলী (রাঃ) কে ডেকে এনে অলীদকে বেত্রাঘাত করার নির্দেশ দিলেন। ‘আলী (রাঃ) তাকে আশিটি বেত্রঘাত করলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪২১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪২৮)

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন