৬২/৬. অধ্যায়ঃ
হাদিস ৩৬৬৮
সহিহ বুখারী : ৩৬৬৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩৬৬৮
فَحَمِدَ اللهَ أَبُوْ بَكْرٍ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَقَالَ أَلَا مَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللهَ فَإِنَّ اللهَ حَيٌّ لَا يَمُوْتُ وَقَالَ إِنَّكَ مَيِّتٌ وَّإِنَّهُمْ مَيِّتُوْنَ (الزمر : 30) وَقَالَوَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُوْلٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْم مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلٰى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَّنْقَلِبْ عَلٰى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَّضُرَّ اللهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللهُ الشَّاكِرِيْنَ (آل عمران : 135) قَالَ فَنَشَجَ النَّاسُ يَبْكُوْنَ قَالَ وَاجْتَمَعَتْ الأَنْصَارُ إِلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ فِيْ سَقِيْفَةِ بَنِيْ سَاعِدَةَ فَقَالُوْا مِنَّا أَمِيْرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيْرٌ فَذَهَبَ إِلَيْهِمْ أَبُوْ بَكْرٍ وَعُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَأَبُوْ عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فَذَهَبَ عُمَرُ يَتَكَلَّمُ فَأَسْكَتَهُ أَبُوْ بَكْرٍ وَكَانَ عُمَرُ يَقُوْلُ وَاللهِ مَا أَرَدْتُ بِذَلِكَ إِلَّا أَنِّيْ قَدْ هَيَّأْتُ كَلَامًا قَدْ أَعْجَبَنِيْ خَشِيْتُ أَنْ لَا يَبْلُغَهُ أَبُوْ بَكْرٍ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَبُوْ بَكْرٍ فَتَكَلَّمَ أَبْلَغَ النَّاسِ فَقَالَ فِيْ كَلَامِهِ نَحْنُ الْأُمَرَاءُ وَأَنْتُمْ الْوُزَرَاءُ فَقَالَ حُبَابُ بْنُ الْمُنْذِرِ لَا وَاللهِ لَا نَفْعَلُ مِنَّا أَمِيْرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيْرٌ فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ لَا وَلَكِنَّا الْأُمَرَاءُ وَأَنْتُمْ الْوُزَرَاءُ هُمْ أَوْسَطُ الْعَرَبِ دَارًا وَأَعْرَبُهُمْ أَحْسَابًا فَبَايِعُوْا عُمَرَ أَوْ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ فَقَالَ عُمَرُ بَلْ نُبَايِعُكَ أَنْتَ فَأَنْتَ سَيِّدُنَا وَخَيْرُنَا وَأَحَبُّنَا إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ عُمَرُ بِيَدِهِ فَبَايَعَهُ وَبَايَعَهُ النَّاسُ فَقَالَ قَائِلٌ قَتَلْتُمْ سَعْدَ بْنَ عُبَادَةَ فَقَالَ عُمَرُ قَتَلَهُ اللهُ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী ‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
আবূ বকর (রাঃ) আল্লাহ্ তা’আলার হাম’দ ও সানা বর্ণনা করে বললেন, যারা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইবাদাতকারী ছিলে তারা জেনে রাখ, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মারা গেছেন। আর যারা আল্লাহ্র ইবাদাত করতে তারা নিশ্চিত জেনে রাখ আল্লাহ্ চিরঞ্জীব, তিনি অমর। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ) এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “নিশ্চয়ই আপনি মরণশীল আর তারা সকলেই মরণশীল”- (আয যুমার ৩০)। আরো তিলাওয়াত করলেনঃ মুহাম্মাদ তো একজন রাসূল ব্যতিরেকে আর কিছু নয়। তার পূর্বেও অনেক রাসূল চলে গেছে। অতএব যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয় তাহলে কি তোমরা ইসলাম ত্যাগ করবে? আর যদি কেউ সেরূপ পেছনে ফিরেও যায়, তবে সে কখনও আল্লাহ্র বিন্দুমাত্র ক্ষতি করতে পারবে না –(আল ইমরান ১৪৪)। আল্লাহ্ তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে পুরস্কৃত করবেন। রাবী বলেন, আবূ বকর (রাঃ)-এর এ কথাগুলি শুনে সবাই ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলেন। রাবী বলেন, আনসারগণ সাকীফা বনূ সায়িদায়ে সা’দ ইবনু ‘উবাইদাহ (রাঃ)-এর নিকট সমবেত হলেন এবং বলতে লাগলেন, আমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন এবং তোমাদের মধ্য হতে একজন আমীর হবেন। আবূ বকর (রাঃ), ‘উমার ইবনু খাত্তাব, আবূ ‘উবাইদাহ ইবনু জাররাহ (রাঃ) এ তিনজন আনসারদের নিকট গমন করলেন। ‘উমার (রাঃ) কথা বলতে চাইলে, আবূ বকর (রাঃ) তাকে থামিয়ে দিলেন। ‘উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্র কসম আমি বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলাম এই জন্য যে, আমি আনসারদের মাহফিলে বলার জন্য চিন্তা-ভাবনা করে এমন কিছু যুক্তিযুক্ত কথা প্রস্তুত করেছিলাম যার প্রেক্ষিতে আমার ধারণা ছিল হয়ত আবূ বকর (রাঃ) এর চিন্তা চেতনা এতটা গভীরে নাও যেতে পারে। কিন্তু আবূ বকর (রাঃ) অত্যন্ত জোরালো ও যুক্তিপূর্ণ ভাষণ রাখলেন। তিনি তার বক্তব্যে বললেন, আমীর আমাদের মধ্য হতে একজন হবেন এবং তোমাদের মধ্য হতে হবেন উযীর। তখন হুবাব ইবনু মুনযির (রহঃ) বললেন, আল্লাহ্র কসম! আমরা এমন করব না বরং আমাদের মধ্যে একজন ও আপনাদের মধ্যে একজন আমীর হবেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, না, তা হয় না। আমাদের মধ্য হতে খলীফা এবং তোমাদের মধ্য হতে উযীর হবেন। কেননা কুরাইশ গোত্র অবস্থানের দিক দিয়ে যেমন আরবের মধ্যস্থানে, বংশ ও রক্তের দিকে থেকেও তারা তেমনি শ্রেষ্ঠ। তাঁরা নেতৃত্বের জন্য যোগ্যতায় সবার শীর্ষে। “তোমরা ‘উমার (রাঃ) অথবা আবূ ‘উবাইদাহ ইবনু জাররাহ (রাঃ) এর হাতে বায়’আত করে নাও। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমরা কিন্তু আপনার হাতেই বায়’আত করব। আপনি আমাদের নেতা। আপনিই আমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। আমাদের মাঝে আপনি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রিয়তম ব্যক্তি। এই বলে ‘উমার (রাঃ) তাঁর হাত ধরে বায়’আত করে নিলেন। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সকলেই বায়’আত করলেন। তখন জনৈক ব্যক্তি বলে উঠলেন, আপনারা সা’দ ইব’নু ‘উবাইদাহ (রাঃ) কে মেরে ফেললেন? ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্ তাকে মেরে ফেলেছেন। (আ. প্র. ৩৩৯৫ প্রথমাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৪০২ প্রথমাংশ)