৫৯/৮. অধ্যায়ঃ
জান্নাতের বর্ণনা সম্পর্কে যা বলা হয়েছে আর তা হল সৃষ্ট
আবুল ‘আলিয়াহ (রহঃ) বলেন,--------মাসিক ঋতু, পেশাব ও থুথু হতে পবিত্র। ---------যখনই তাদের সামনে কোন একপ্রকারের খাদ্য পরিবেশন করা হবে, অতঃপরই অন্য এক প্রকারের খাদ্য পরিবেশন করা হবে। তারা (জান্নাতবাসীরা) বলবে, এগুলোতো ইতোপূর্বেই আমাদেরকে পরিবেশন করা হয়েছে। ------------ তাদেরকে পরস্পরসদৃশ খাবার পরিবেশন করা হবে অথচ সেগুলো স্বাদে হবে বিভিন্ন। ------- তারা যেভাবে ইচ্ছা ফলফলাদি গ্রহণ করবে। ------- নিকটবর্তী ------- পালঙ্কসমূহ। হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, ------– চেহারার সজীবতা। আর ------ মনেরআনন্দ।মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, ----- –দ্রুতপ্রবাহিতপানি। ---- পেটের ব্যথা। ---- তাদের বুদ্ধি লোপ পাবেনা। ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন,---- পরিপূর্ণ। ---- অংকুরিত যৌবনা তরুণী। ---- পাণীয়। ---- – জান্নাতবাসীদের পাণীয় যা উঁচু হতে নিঃসৃত হয়। ---- তার মোড়ক হবে ---- কস্তুরী। ---- দুই উচ্ছলিত (ঝর্ণা) ---- সোনা ও মণিমুক্তা দিয়ে তৈরী। এ শব্দটি হতেই -------– এর উৎপত্তি অর্থাৎ উটের পিঠের গদী। ---- –হাতল বিহীন পানপাত্র ----–-- হাতল বিশিষ্ট পানপাত্র। ------– সোহাগিনী। একবচনে ---- –যেমন ---–এর বহুবচন ----- মক্কা বাসী একে --- –মদীনা বাসী ---- আর ইরাকীরা--- বলে থাকে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, --- জান্নাত ও স্বচ্ছল জীবন। --- জীবিকা। .--- কলা --- কাঁদিভরা, এটাও বলা হয় যার কাঁটা নেই। --- স্বামীদের নিকট সোহাগিনী। --- প্রবাহিত। --- একটির উপর আরেকটি বিছানা --- অলীক কথা। --- মিথ্যা। --- ডালসমূহ। ----------- দুই বাগিচার ফল হবে তাদের নিকটবর্তী যা নিকট হতে গ্রহণ করবে। --------- এ বাগিচা দু’টি ঘন সবুজ।
সহিহ বুখারী : ৩২৪৬
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ৩২৪৬
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَوَّلُ زُمْرَةٍ تَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ، وَالَّذِينَ عَلَى إِثْرِهِمْ كَأَشَدِّ كَوْكَبٍ إِضَاءَةً، قُلُوبُهُمْ عَلَى قَلْبِ رَجُلٍ وَاحِدٍ، لاَ اخْتِلاَفَ بَيْنَهُمْ وَلاَ تَبَاغُضَ، لِكُلِّ امْرِئٍ مِنْهُمْ زَوْجَتَانِ، كُلُّ وَاحِدَةٍ مِنْهُمَا يُرَى مُخُّ سَاقِهَا مِنْ وَرَاءِ لَحْمِهَا مِنَ الْحُسْنِ، يُسَبِّحُونَ اللَّهَ بُكْرَةً وَعَشِيًّا، لاَ يَسْقَمُونَ وَلاَ يَمْتَخِطُونَ، وَلاَ يَبْصُقُونَ، آنِيَتُهُمُ الذَّهَبُ وَالْفِضَّةُ، وَأَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ، وَقُودُ مَجَامِرِهِمُ الأُلُوَّةُ ـ قَالَ أَبُو الْيَمَانِ يَعْنِي الْعُودَ ـ وَرَشْحُهُمُ الْمِسْكُ ". وَقَالَ مُجَاهِدٌ الإِبْكَارُ أَوَّلُ الْفَجْرِ، وَالْعَشِيُّ مَيْلُ الشَّمْسِ أَنْ تُرَاهُ تَغْرُبَ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারার ন্যায় আকৃতি ধারন করবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যাক্তির অন্তরের মত থকবে। তাদের মধ্যে কোন রকম মতভেদ থাকবে না আর পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের দু’জন করে স্ত্রী থাকবে। সৌন্দর্যের কারণে গোশ্ত ভেদ করে পায়ের নলার মজ্জা দেখা যাবে। তারা সকাল- সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করবে। তারা রোগাক্রান্ত হবে না, নাক ঝাড়বেনা, থুথু ফেলবে না। তাদের পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের আর চিরুণী হবে স্বর্ণের। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধি কাষ্ঠ।’ আবুল ইয়ামান (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ কাষ্ঠ। তাদের গায়ের ঘাম মিসকের মত সুগন্ধময় হবে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, --- অর্থ উষাকালের প্রথম অংশ --- অর্থ সূর্য ঢলে পড়ার সময় হতে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়কাল।