৫৪/৪. অধ্যায়ঃ
নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত সওয়ারীর পিঠে চড়ে যাবার শর্তে পশু বিক্রি করা জায়িয।
সহিহ বুখারী : ২৭১৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ২৭১৮
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، قَالَ سَمِعْتُ عَامِرًا، يَقُولُ حَدَّثَنِي جَابِرٌ ـ رضى الله عنه أَنَّهُ كَانَ يَسِيرُ عَلَى جَمَلٍ لَهُ قَدْ أَعْيَا، فَمَرَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَضَرَبَهُ، فَدَعَا لَهُ، فَسَارَ بِسَيْرٍ لَيْسَ يَسِيرُ مِثْلَهُ ثُمَّ قَالَ " بِعْنِيهِ بِوَقِيَّةٍ ". قُلْتُ لاَ. ثُمَّ قَالَ " بِعْنِيهِ بِوَقِيَّةٍ ". فَبِعْتُهُ فَاسْتَثْنَيْتُ حُمْلاَنَهُ إِلَى أَهْلِي، فَلَمَّا قَدِمْنَا أَتَيْتُهُ بِالْجَمَلِ، وَنَقَدَنِي ثَمَنَهُ، ثُمَّ انْصَرَفْتُ، فَأَرْسَلَ عَلَى إِثْرِي، قَالَ " مَا كُنْتُ لآخُذَ جَمَلَكَ، فَخُذْ جَمَلَكَ ذَلِكَ فَهْوَ مَالُكَ ". قَالَ شُعْبَةُ عَنْ مُغِيرَةَ عَنْ عَامِرٍ عَنْ جَابِرٍ أَفْقَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ظَهْرَهُ إِلَىَ الْمَدِينَةِ. وَقَالَ إِسْحَاقُ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ مُغِيرَةَ فَبِعْتُهُ عَلَى أَنَّ لِي فَقَارَ ظَهْرِهِ حَتَّى أَبْلُغَ الْمَدِينَةَ. وَقَالَ عَطَاءٌ وَغَيْرُهُ لَكَ ظَهْرُهُ إِلَى الْمَدِينَةِ، وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ عَنْ جَابِرٍ شَرَطَ ظَهْرَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَقَالَ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ جَابِرٍ وَلَكَ ظَهْرُهُ حَتَّى تَرْجِعَ. وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَفْقَرْنَاكَ ظَهْرَهُ إِلَى الْمَدِينَةِ. وَقَالَ الأَعْمَشُ عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ تَبَلَّغْ عَلَيْهِ إِلَى أَهْلِكَ. وَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ وَابْنُ إِسْحَاقَ عَنْ وَهْبٍ عَنْ جَابِرٍ اشْتَرَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِوَقِيَّةٍ. وَتَابَعَهُ زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ عَنْ جَابِرٍ. وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ وَغَيْرِهِ عَنْ جَابِرٍ أَخَذْتُهُ بِأَرْبَعَةِ دَنَانِيرَ. وَهَذَا يَكُونُ وَقِيَّةً عَلَى حِسَابِ الدِّينَارِ بِعَشَرَةِ دَرَاهِمَ. وَلَمْ يُبَيِّنِ الثَّمَنَ مُغِيرَةُ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ جَابِرٍ، وَابْنُ الْمُنْكَدِرِ وَأَبُو الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ. وَقَالَ الأَعْمَشُ عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ وَقِيَّةُ ذَهَبٍ. وَقَالَ أَبُو إِسْحَاقَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ جَابِرٍ بِمِائَتَىْ دِرْهَمٍ. وَقَالَ دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مِقْسَمٍ عَنْ جَابِرٍ اشْتَرَاهُ بِطَرِيقِ تَبُوكَ، أَحْسِبُهُ قَالَ بِأَرْبَعِ أَوَاقٍ. وَقَالَ أَبُو نَضْرَةَ عَنْ جَابِرٍ اشْتَرَاهُ بِعِشْرِينَ دِينَارًا. وَقَوْلُ الشَّعْبِيِّ بِوَقِيَّةٍ أَكْثَرُ. الاِشْتِرَاطُ أَكْثَرُ وَأَصَحُّ عِنْدِي. قَالَهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ.
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি তাঁর এক উটের উপর সওয়ার হয়ে সফর করছিলেন, সেটি ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন এবং উটটিকে (চলার জন্য) প্রহার করে সেটির জন্য দু‘আ করলেন। ফলে উটটি এত জোরে চলতে লাগলো যে, কখনো তেমন জোরে চলেনি। অতঃপর তিনি বললেন, ‘এক উকিয়ার বিনিময়ে এটি আমার নিকট বিক্রি কর।’ আমি বললাম, না। তিনি বললেন, ‘এটি আমার নিকট এক উকিয়ার বিনিময়ে বিক্রি কর।’ তখন আমি সেটি বিক্রি করলাম। কিন্তু আমার পরিজনের নিকট পৌঁছা পর্যন্ত সওয়ার হবার অধিকার রেখে দিলাম। অতঃপর উট নিয়ে আমি তাঁর নিকট গেলাম। তিনি আমাকে এর নগদ মূল্য দিলেন। অতঃপর আমি চলে গেলাম। তখন আমার পেছনে লোক পাঠালেন। পরে বললেন, ‘তোমার উট নেয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না। তোমার এ উট তুমি নিয়ে যাও এটি তোমারই মাল।’শু‘বা (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উটটির পেছনে মদীনা পর্যন্ত আমাকে সাওয়ার হতে দিলেন। ইসহাক (রহঃ) জারীর (রহঃ) সুত্রে মুগীরাহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আমি সেটি এ শর্তে বিক্রি করলাম যে, ‘মদীনায় পৌঁছা পর্যন্ত তার পিঠে সাওয়ার হবার অধিকার আমার থাকবে। ‘আতা (রহঃ) প্রমুখ বলেন, [রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছিলেন], মদীনা পর্যন্ত তোমার তাতে সওয়ার হবার অধিকার থাকবে। ইব্নু মুনকাদির (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি মদীনা পর্যন্ত এর পিঠে সওয়ার হবার শর্ত করেছেন। যায়দ ইব্নু আসলাম (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমার প্রত্যাবর্তন করা পর্যন্ত এর পিঠে সওয়ার হতে পারবে। আবূ যুবাইর (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তোমাকে মদীনা পর্যন্ত এর পিঠে সওয়ার হতে দিলাম। আ‘মাশ (রহঃ) সালিম (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, এর উপর সওয়ার হয়ে তুমি পরিজনের নিকট পৌঁছবে। ‘উবাইদুল্লাহ্ ও ইব্নু ইসহাক (রহঃ) ওয়াহাব (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক উকিয়ার বিনিময়ে সেটি খরিদ করেছিলেন। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করতে গিয়ে যায়দ ইব্নু আসলাম (রহঃ) ওয়াহাব (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। ইব্নু জুরাইজ (রহঃ) ‘আত্বা (রহঃ) প্রমুখ সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, [রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ] আমি এটাকে বার দীনারের বিনিময়ে নিলাম। দশ দিরহামে এক দীনার হিসেবে তাতে এক উকিয়াই হয়। মুগীরাহ (রহঃ) শাবী (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে এবং ইব্নু মুনকাদির ও আবু যুবাইর (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনায় মূল্য উল্লেখ করেননি। আ‘মাশ (রহঃ) সালিম (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনায় এক উকিয়া স্বর্ণ উল্লেখ করেছেন। সালিম (রহঃ) সূত্রে জাবির (রাঃ) থেকে দাউদ ইব্নু কায়স (রহঃ) –এর বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনি সেটি তাবুকের পথে খরিদ করেন। রাবী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলেছেন, চার উকিয়ার বিনিময়ে। আবূ নাযরা (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি সেটি বিশ দীনারে খরিদ করেছেন। তবে শাবী (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত এক উকিয়াই অধিক বর্ণিত। আবূ ‘আবদুল্লাহ্ (রহঃ) বলেন, (রিওয়ায়াতে বিভিন্ন রকমের হলেও) শর্ত আরোপ কৃত রিওয়ায়াতই অধিক সূত্রে বর্ণিত এবং আমার মতে এটাই অধিক সহীহ।