৫১/১৪. অধ্যায়ঃ
পুরুষের স্ত্রীর জন্য এবং স্ত্রীর পুরুষের জন্য হিবা করা।
ইবরাহীম (রহঃ) বলেছেন, এরূপ দান বৈধ। আর ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) বলেছেন, এ ধরনের দান করে তারা ফিরিয়ে নিতে পারবে না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর স্ত্রীগণের নিকট ‘আয়িশা (রাঃ)-এর ঘরে সেবা-শুশ্রুষা গ্রহণের অনুমতি চেয়েছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে আপন দান ফেরত নেয়, সে ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে পুনরায় খায়। ইমাম যুহরী (রহঃ) বলেন, কোন লোক যদি তার স্ত্রীকে বলে, আমাকে তোমার মাহরের কিছু অংশ বা সবটুকু দান করে দাও। অথচ সে দান করার কিছু পরেই তালাক দিয়ে বসে, আর স্ত্রীও তার দান ফেরত দাবী করে তাহলে তাকে তা ফেরত দিতে হবে; যদি প্রতারণার নিয়তে এ রকম করে থাকে। আর যদি সে খুশী মনে দান করে থাকে, আর স্বামীর আচরণেও প্রতারণা না থাকে তাহলে বৈধ। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, “পরে যদি তারা তার কিছু অংশ দান করে দেয় তবে আনন্দ ও তৃপ্তি সহকারে তা ভোগ কর। ” (সূরা আল ‘ইমরান ৪)
সহিহ বুখারী : ২৫৮৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ২৫৮৮
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَاشْتَدَّ وَجَعُهُ اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ، فَخَرَجَ بَيْنَ رَجُلَيْنِ، تَخُطُّ رِجْلاَهُ الأَرْضَ، وَكَانَ بَيْنَ الْعَبَّاسِ، وَبَيْنَ رَجُلٍ آخَرَ. فَقَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَذَكَرْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ مَا قَالَتْ عَائِشَةُ، فَقَالَ لِي وَهَلْ تَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الَّذِي لَمْ تُسَمِّ عَائِشَةُ قُلْتُ لاَ. قَالَ هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.
‘আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভারী হয়ে পড়লেন এবং তাঁর কষ্ট বেড়ে গেল। তখন তিনি তাঁর স্ত্রীগণের নিকট আমার ঘরে শুশ্রুষা পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তাঁরা তাঁকে সম্মতি দিলেন। অতঃপর একদা দু’ব্যক্তির উপর ভর করে বের হলেন, তখন তাঁর উভয় পা মাটি স্পর্শ করছিল। তিনি ‘আব্বাস (রাঃ) ও আরেক ব্যক্তির মাঝে ভর দিয়ে চলছিলেন। উবায়দুল্লাহ (রহঃ) বলেন, ‘আয়িশা (রাঃ) যা বললেন, তা আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট আরয করলাম, তিনি তখন আমাকে বললেন, ‘আয়িশা (রাঃ) যার নাম উল্লেখ করলেন না, তিনি কে, তা জান কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি হলেন আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)।