৩০/২৭. অধ্যায়ঃ
সায়িমের জন্য কাঁচা বা শুকনো দাঁতন ব্যবহার করা ।
আমির ইব্নু রাবী’আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সায়িম অবস্থায় অসংখ্য বার মিসওয়াক করতে দেখেছি । আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমার উম্মাতের জন্য যদি কষ্টকর মনে না করতাম তাহলে প্রতিবার উযুর সময়ই আমি তাদের মিসওয়াকের নির্দেশ দিতাম । জাবির (রাঃ) এবং যায়েদ ইব্নু খালিদ (রাঃ)-এর সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং তিনি সায়িম এবং যে সায়িম নয়, তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য করেননি । ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেন যে, মিসওয়াক করায় রয়েছে মুখের পবিত্রতা ও আল্লাহ্র সন্তুষ্টি । ‘আত্বা (রহঃ) এবং কাতাদাহ (রহঃ) বলেছেন, সায়িম তার মুখের থুথু গিলে ফেলতে পারে ।
সহিহ বুখারী : ১৯৩৪
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৯৩৪
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ حُمْرَانَ رَأَيْتُ عُثْمَانَ تَوَضَّأَ فَأَفْرَغَ عَلَى يَدَيْهِ ثَلاَثًا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْثَرَ ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُمْنَى إِلَى الْمَرْفِقِ ثَلاَثًا ثُمَّ غَسَلَ يَدَهُ الْيُسْرَى إِلَى الْمَرْفِقِ ثَلاَثًا ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَهُ الْيُمْنَى ثَلاَثًا ثُمَّ الْيُسْرَى ثَلاَثًا ثُمَّ قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَوَضَّأَ نَحْوَ وَضُوئِي هَذَا ثُمَّ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ نَفْسَهُ فِيهِمَا بِشَيْءٍ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
হুমরান (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি উসমান (রাঃ)-কে উযূ করতে দেখেছি। তিনি তিনবার হাতের উপর পানি ঢাললেন। এরপর কুলি করলেন, নাকে পানি দিলেন। অতঃপর তিনবার চেহারা (মুখমণ্ডল) ধুলেন। এরপর ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন এবং বামহাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। এরপর তিনি মাথা মাসাহ করলেন। অতঃপর ডান পা তিনবার ধুলেন অতঃপর বাম পা তিনবার ধুলেন। এরপর বললেন, আমি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে উযূ করতে দেখেছি আমার এ উযূর মতই। এরপর তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার এ উযূর মত উযূ করে দু’রাক’আত সালাত আদায় করবে এবং এতে মনে মনে কোন কিছুর চিন্তা-ভাবনায় লিপ্ত হবে না, তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।