২৫/১০৩. অধ্যায়ঃ
কুরবানীর উটের পিঠে আরোহণ করা। আল্লাহর বাণীঃ
“আর উটকে আমি করেছি তোমাদের জন্য আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে অন্যতম নিদর্শন, তোমাদের জন্য এতে রয়েছে মঙ্গল। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করানো অবস্থায় তাদের উপর তোমরা আল্লাহর নাম উচ্চারণ কর; অত:পর যখন তারা কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তোমরা তা থেকে খাও এবং সাহায্য কর ধৈর্য্যশীল অভাবগ্রস্থকে এবং যাচ্ঞাকারী অভাবগ্রস্থকেও। আমি এভাবে ঐ পশুগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি যেন তোমরা শোকর কর। আর আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর গোশত এবং না এগুলোর রক্ত, বরং তাঁর কাছে পৌছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যেন তোমরা আল্লাহর মহত্ব ঘোষণা কর, যেহেতু তিনি তোমাদেরকে হিদায়াত দান করেছেন। সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মশীলদেরকে।” (আল-হজ্জ : ৩৬-৩৭)মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, কুরবানীর উটগুলোকে মোটা তাজা হওয়ার কারণে (আরবি) বলা হয়, (আরবি) অর্থাৎ যাচ্ঞাকারী, (আরবি) ঐ ব্যক্তি, যে ধনী হোক বা দরিদ্র, কুরবানীর উটের গোশত খাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়ায়। (আরবি) অর্থাৎ কুরবানীর উটের প্রতি সম্মান করা এবং ভাল জানা। (আরবি) অর্থাৎ যালিমদের হতে মুক্ত হওয়া (আরবি) অর্থ যমীনে লুটিয়ে পড়ে। এ অর্থেই হল (আরবি) সূর্য অস্তমিত হয়েছে।
সহিহ বুখারী : ১৬৯০
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৬৯০
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ وَشُعْبَةُ قَالاَ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى رَجُلاً يَسُوقُ بَدَنَةً فَقَالَ ارْكَبْهَا قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا قَالَ إِنَّهَا بَدَنَةٌ قَالَ ارْكَبْهَا ثَلاَثًا
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে কুরবানীর উট হ্যাঁকিয়ে নিতে দেখে বললেন, এর উপর সওয়ার হয়ে যাও। সে বলল, এ তো কুরবানীর উট। তিনি বললেন, এর উপর সওয়ার হয়ে যাও। লোকটি বলল, এ তো কুরবানীর উট। তিনি বললেন, এর উপর সওয়ার হয়ে যাও। এ কথাটি তিনি তিনবার বললেন। (২৭৫৪, ৬১৫৯, মুসলিম ১৫/৬৫, হাঃ ১২২৩, আহমাদ ১২০৪০) (আঃপ্রঃ ১৫৭৪, ইঃফাঃ ১৫৮১)