২৪/২৩. অধ্যায়ঃ
সদকা গুনাহ মিটিয়ে দেয়।
সহিহ বুখারী : ১৪৩৫
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৪৩৫
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ أَيُّكُمْ يَحْفَظُ حَدِيثَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْفِتْنَةِ قَالَ قُلْتُ أَنَا أَحْفَظُهُ كَمَا قَالَ. قَالَ إِنَّكَ عَلَيْهِ لَجَرِيءٌ فَكَيْفَ قَالَ قُلْتُ فِتْنَةُ الرَّجُلِ فِي أَهْلِهِ وَوَلَدِهِ وَجَارِهِ تُكَفِّرُهَا الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ وَالْمَعْرُوفُ. قَالَ سُلَيْمَانُ قَدْ كَانَ يَقُولُ " الصَّلاَةُ وَالصَّدَقَةُ، وَالأَمْرُ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّهْىُ عَنِ الْمُنْكَرِ ". قَالَ لَيْسَ هَذِهِ أُرِيدُ، وَلَكِنِّي أُرِيدُ الَّتِي تَمُوجُ كَمَوْجِ الْبَحْرِ. قَالَ قُلْتُ لَيْسَ عَلَيْكَ بِهَا يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ بَأْسٌ، بَيْنَكَ وَبَيْنَهَا باب مُغْلَقٌ. قَالَ فَيُكْسَرُ الْبَابُ أَوْ يُفْتَحُ. قَالَ قُلْتُ لاَ. بَلْ يُكْسَرُ. قَالَ فَإِنَّهُ إِذَا كُسِرَ لَمْ يُغْلَقْ أَبَدًا. قَالَ قُلْتُ أَجَلْ. فَهِبْنَا أَنْ نَسْأَلَهُ مَنِ الْبَابُ فَقُلْنَا لِمَسْرُوقٍ سَلْهُ. قَالَ فَسَأَلَهُ. فَقَالَ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ. قَالَ قُلْنَا فَعَلِمَ عُمَرُ مَنْ تَعْنِي قَالَ نَعَمْ، كَمَا أَنَّ دُونَ غَدٍ لَيْلَةً، وَذَلِكَ أَنِّي حَدَّثْتُهُ حَدِيثًا لَيْسَ بِالأَغَالِيطِ.
হুযাইফা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা ‘উমর ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে ফিতনা সম্পর্কিত হাদীস মনে রেখেছ? হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেভাবে বলেছেন, আমি ঠিক সেভাবেই তা স্মরণ রেখেছি। ‘উমর (রাঃ) বললেন, তুমি [আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে] বড় দুঃসাহসী ছিলে, তিনি কিভাবে বলেছেন (বলতো)? তিনি বলেন, আমি বললাম, (হাদীসটি হলোঃ) মানুষ পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি ও প্রতিবেশী নিয়ে ফিতনায় পতিত হবে আর সালাত, সদকা ও নেক কাজ সেই ফিতনা মুছে দিবে। সুলাইমান [অর্থাৎ আমাশ (রহঃ)] বলেন, আবূ ওয়াইল কোন কোন সময় সালাত, সদকা ও সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে বলতেন। ‘উমর (রাঃ) বলেন, আমি এ ধরনের ফিতনার কথা অবগত হতে চাইনি, বরং যে ফিতনা সাগরের ঢেউয়ের মত প্রবল বেগে ছুটে আসবে। হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমীরুল মু’মিনীন। আপনার জীবনকালে ঐ ফিতনার কোন ভয় নেই। সেই ফিতনা ও আপনার মাঝে বদ্ধ দরজা রয়েছে। ‘উমর (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, দরজা কি ভেঙ্গে দেয়া হবে না কি খুলে দেয়া হবে? হুযাইফা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, না বরং ভেঙ্গে দেয়া হবে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, দরজা ভেঙ্গে দেয়া হলে কোন দিন তা আর বন্ধ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, আমি বললাম, সত্যই বলেছেন। আবূ ওয়াইল (রাঃ) বলেন, দরজা বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে- এ কথা হুযাইফা (রাঃ)-এর নিকট প্রশ্ন করে জানতে আমরা কেউ সাহসী হলাম না। তাই প্রশ্ন করতে মাসরূককে অনুরোধ করলাম। মাসরূক (রহঃ) হুযাইফা (রাঃ)-কে প্রশ্ন করায় তিনি উত্তর দিলেনঃ দরজা হলেন ‘উমর (রাঃ)। আমরা বললাম, আপনি দরজা বলে যাকে উদ্দেশ করেছেন, ‘উমর (রাঃ) কি তা অনুধাবন করতে পেরেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আগামীকালের পূর্বে রাতের আগমন যেমন সুনিশ্চিত (তেমনি নিঃসন্দেহে তিনি তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন)। এর কারণ হলো, আমি তাঁকে এমন হাদীস বর্ণনা করেছি, যাতে কোন ভুল ছিল না।