২৪/১৮. অধ্যায়ঃ
প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকা ব্যতীত সদকা নেই।
যে ব্যক্তি সদকা করতে চায়’ অথচ সে নিজেই দরিদ্র বা তার পরিবার-পরিজন অভাবগ্রস্ত অথবা সে ঋণগ্রস্ত, এ অবস্থায় তার জন্য সদকা করা, গোলাম আযাদ করা ও দান করার চেয়ে ঋণ পরিশোধ করা অধিক কর্তব্য। বরং তা ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির নিকট প্রত্যাবর্তনশীল লোকের সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার তার নেই। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি বিনষ্ট করার ইচ্ছায় লোকের সম্পদ হস্তগত করে, আল্লাহ তাকে ধ্বংস করে দিবেন। [ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন,] তবে এ ধরনের ব্যক্তি যদি ধৈর্যশীল বলে পরিচিত হয়, তথা নিজের দারিদ্র উপেক্ষা করে অন্যকে নিজের উপর প্রাধান্য দেয়, তাহলে সে সদকা করতে পারে। যেমন আবূ বক্র (রাঃ)-এর (অমর) কীর্তি, তিনি সমুদয় সম্পদ সদকা করে দিয়েছিলেন। তেমনিভাবে আনসারী সাহাবীগণ মুহাজির সাহাবীদেরকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পদ বিনষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। কাজেই (ঋন পরিশোধ না করে) সদকা করার বাহানায় অন্যের সম্পদ বিনষ্ট করার কোন অধিকার কারো নেই। কা’ব ইব্নু মালিক (রাঃ) বলেন, আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার সম্পূর্ণ সম্পদ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উদ্দেশে সদকা করতে চাই, আমি আমার তাওবার অংশ হিসাবে। তিনি বললেনঃ তোমার কিছু মাল নিজের জন্য রেখে দিবে। আর এটাই তোমার জন্য শ্রেয়। আমি বললাম, আমি খায়বারে প্রাপ্ত অংশটুকু রেখে দিবো।
সহিহ বুখারী : ১৪২৮
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৪২৮
See previous Hadith
ওহায়ব (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে অনুরূপ বর্ণিত আছে।