২৩/৫৬. অধ্যায়ঃ
জানাযার সালাতের নিয়ম।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জানাযার সালাত আদায় করবে……। তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য (জানাযার) সালাত আদায় কর। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একে সালাত বলেছেন, (অথচ) এর মধ্যে রুকূ’ ও সাজদাহ্ নেই এবং এতে কথা বলা যায় না, এতে রয়েছে তাকবির্ ও তাসলিম। ইব্নু ‘উমর (রাঃ) পবিত্রতা ছাড়া (জানাযার) সালাত আদায় করতেন না ও সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালে এ সালাত আদায় করতেন না। (তাকবীর কালে) দু’হাত উত্তোলন করতেন। হাসান (বাসরী) (রহঃ) বলেন, আমি সাহাবীগণকে এমন অবস্থায় পেয়েছি যে, তাঁদের জানাযার সালাতের (ইমামতের) জন্য তাঁকেই অধিকতর যোগ্য মনে করা হতো, যাকে তাঁদের ফরয সালাতসমূহের (ইমামতের) জন্য তাঁরা পছন্দ করতেন। ঈদের দিন (সালাত কালে) বা জানাযার সালাত আদায় কালে কারো উযূ নষ্ট হয়ে গেলে, তিনি পানি খোঁজ করতেন, তায়াম্মুম করতেন না। কেউ জানাযার নিকট পৌঁছে, লোকদের সালাত রত দেখলে তাকবীর বলে তাতে শামিল হয়ে যেতেন। ইব্নু মুসাইয়িব (রহঃ) বলেছেন, দিনে হোক বা রাতে, বিদেশ হোক কিংবা দেশে (জানাযার সালাতের) চার তাকবীরই বলবে। আনাস (রাঃ) বলেছেন, (প্রথম) এক তাকবীর হল সালাতের সূচনা। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেনঃ “তাদের (মুনাফিকদের) কেউ মারা গেলে কক্ষনও তার জন্য সালাত (জানাযা) আদায় করবে না” - (আত্-তাওবাহ ৮৪)। এ ছাড়াও জানাযার সালাতে রয়েছে একাধিক কাতার ও ইমামতের বিধান।
সহিহ বুখারী : ১৩২২
সহিহ বুখারীহাদিস নম্বর ১৩২২
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْ، مَرَّ مَعَ نَبِيِّكُمْ صلى الله عليه وسلم عَلَى قَبْرٍ مَنْبُوذٍ فَأَمَّنَا فَصَفَفْنَا خَلْفَهُ. فَقُلْنَا يَا أَبَا عَمْرٍو مَنْ حَدَّثَكَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما.
শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এমন এক সাহাবী আমাকে খবর দিয়েছেন, যিনি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একটি পৃথক কবরের পার্শ্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি (নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ) ইমামত করলেন, আমরা তার পিছনে কাতারবন্দী [২১] হলাম এবং সালাত আদায় করলাম। [শাইবানী (রহঃ) বলেন,] আমরা (শা’বীকে) জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ ‘আম্র! আপনাকে এ হাদীস কে বর্ণনা করেছেন? তিনি বললেন, ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ)।
[২১] জানাযার সালাতে তিন বা তার অধিক কাতার করা উত্তম এবং তিন কাতারের ফযীলতও বর্ণিত হয়েছে। (আহকামুল জানায়িয ১২৭-১২৮ পৃষ্ঠা, আলবানী)