পরিচ্ছদঃ ২৩.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১০৭২
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১০৭২
عَنْ عَبْدِ اللّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنِ الصَّلَاةِ إِلَّا مُنَافِقٌ قَدْ عُلِمَ نِفَاقُه أَوْ مَرِيضٌ إِنْ كَانَ الْمَرِيضُ لَيَمْشِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ حَتّى يَأْتِيَ الصَّلَاةَ وَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ عَلَّمَنَا سُنَنَ الْهُدى وَإِنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدَى الصَّلَاةُ فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي يُؤَذَّنُ فِيهِ.وَفِي رِوَايَة: مَنْ سَرَّه أَنْ يَلْقَى اللّهَ غَدًا مُسْلِمًا فَلْيُحَافِظْ عَلى هَؤُلَاءِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ حَيْثُ يُنَادى بِهِنَّ فَإِنَّ اللّهَ شَرَعَ لِنَبِيِّكُمْ ﷺ سُنَنَ الْهُدى وَإِنَّهُنَّ مِنْ سُنَنِ الْهُدى وَلَوْ أَنَّكُمْ صَلَّيْتُمْ فِىْ بُيُوتِكُمْ كَمَا يُصَلِّي هذَا الْمُتَخَلِّفُ فِي بَيْتِه لَتَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ وَلَوْ تَرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَضَلَلْتُمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَتَطَهَّرُ فَيُحْسِنُ الطُّهُوْرَ ثُمَّ يَعْمِدُ إِلى مَسْجِدٍ مِنْ هذِهِ الْمَسَاجِدِ إِلَّا كَتَبَ اللّهُ لَه بِكُلِّ خُطْوَةٍ يَخْطُوهَا حَسَنَةً وَرَفَعَه بِهَا دَرَجَةً وَحُطَّ عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَلَقَدْ رَأَيْتُنَا وَمَا يَتَخَلَّفُ عَنْهَا إِلَّا مُنَافِقٌ مَعْلُوْمُ النِّفَاقِ وَلَقَدْ كَانَ الرَّجُلُ يُؤْتى بِه يُهَادى بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ حَتّى يُقَامَ فِي الصَّفِّ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নিজেদের দেখেছি জামা‘আতে সলাত আদায় করা থেকে শুধু মুনাফিক্বরাই বিরত থাকত যাদের মুনাফিক্বী অত্যন্ত স্পষ্ট ছিল অথবা রুগ্ন লোক। তবে যে রুগ্ন লোক দু’ব্যক্তির ওপর ভর করে চলতে পারতো সেও জামা‘আতে আসত। এরপর ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘উদ (রাঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে হিদায়াতের পথসমূহ শিখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর শিখানো হিদায়াতের পথসমূহ থেকে একটি এই যে, যে মাসজিদে আযান দেয়া হয় সেটাতে জামা‘আতের সাথে সলাত আদায় করা। অপর একটি বর্ণনায় আছে, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যে ব্যক্তি আগামীকাল আল্লাহর সাথে পূর্ণ মুসলিম হিসেবে সাক্ষাৎ করে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন পাঁচ ওয়াক্ত সলাত উপযুক্ত সময়ে আদায় করার প্রতি যত্নবান হয়ে যেখানে সলাতের জন্যে আযান দেয়া হয় সেখানে সলাত আদায় করে। কারণ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের রসূলের জন্যে ‘সুনানুল হুদা’ (হিদায়াতের পথ) নির্দিষ্ট করেছেন। জামা‘আতের সাথে এ পাঁচ বেলা সলাত আদায় করাও এ ‘সুনানুল হুদার’ মধ্যে একটি অন্যতম। তোমরা যদি তোমাদের ঘরে সলাত আদায় কর, যেভাবে এ পিছে পড়ে থাকা লোকগুলো (মুনাফিক্ব) তাদের বাড়িতে সলাত আদায় করে, তবে তোমরা অবশ্যই তোমাদের নাবীর সুন্নাতকে ছেড়ে দিলে। যদি তোমরা তোমাদের নাবীর হিদায়াতসমূহ ছেড়ে দাও তাহলে অবশ্যই পথভ্রষ্ট হবে। তোমাদের মধ্যে যারা ভাল করে পাক-পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর এসব মাসজিদের কোন মাসজিদে সলাত আদায় করতে যায়, তবে আল্লাহ তা‘আলা তার প্রতি কদমে একটি করে নেকী দান করবেন, তার মর্যাদা এক ধাপ উন্নত করবেন এবং তার একটি পাপ মাফ করে দেন। আমি আমাদেরকে দেখেছি যে, প্রকাশ্য মুনাফিক্বরা ছাড়া অন্য কেউ সলাতের জামা‘আত থেকে পিছে থাকতো না বরং তাদেরকে দু’জনের কাঁধে হাত দিয়ে এনে সলাতের সারিতে দাঁড় করিয়ে দেয়া হত। (মুসলিম) [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৬৫৪।