পর্ব-৮ঃ কুরআনের মর্যাদা
পরিচ্ছদঃ
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২১০৯
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২১০৯
عَنْ عُثْمَانَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «خَيْرُكُمْ مَنْ تَعْلَّمَ الْقُرْاٰنَ وَعَلَّمَه». رَوَاهُ البُخَارِىُّ
উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই উত্তম, যে কুরআন শিক্ষা করে এবং তা (মানুষকে) শিক্ষা দেয়। (বুখারী)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৫০২৭, আবূ দাঊদ ১৪৫২, তিরমিযী ২৯০৭, আহমাদ ৫০০, শু‘আবূল ঈমান ১৭৮৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ১১৮, সহীহাহ্ ১১৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৪১৫, সহীহ আল জামি‘ ৩৩১৯।
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২১১০
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২১১০
وَعَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: خَرَجَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ وَنَحْنُ فِى الصُّفَّةِ فَقَالَ: «أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ يَغْدُوَ كُلَّ يَوْم إِلٰى بُطْحَانَ أَو الْعَقِيْقَ فَيَأْتِىْ مِنْهُ بِنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ فِىْ غَيْرِ إِثْمٍ وَلَا قَطْعِ رَحِمٍ» فَقُلْنَا يَا رَسُول الله نُحِبُّ ذٰلِكَ قَالَ: «أَفَلَا يَغْدُوْ أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ أَوْ يَقْرَأُ اٰيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللهِ خَيْرٌ لَه مِنْ نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٍ خَيْرٌ لَه مِنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعٍ خَيْرٌ لَه مِنْ أَرْبَعٍ وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنَ الْإِبِلِ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
উকবাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা (একদিন) মাসজিদের প্রাঙ্গণে বসেছিলাম। এ সময়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে আসলেন ও (আমাদেরকে) বললেন, তোমাদের কেউ প্রতিদিন সকালে ‘বুত্বহান’ অথবা ‘আক্বীক’ বাজারে গিয়ে দু’টি বড় কুঁজওয়ালা উটনী কোন অপরাধ সংঘটন ও আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা ছাড়া নিয়ে আসতে পছন্দ করবে? এ কথা শুনে আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের প্রত্যেকেই এ কাজ করতে পছন্দ করবে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদি তা-ই হয় তাহলে তোমাদের কেউ কোন মাসজিদে গিয়ে সকালে আল্লাহর কিতাবের দু’টি আয়াত (মানুষকে) শিক্ষা দেয় না বা (নিজে) শিক্ষাগ্রহণ করে না কেন? অথচ এ দু’টি আয়াত শিক্ষা দেয়া তার জন্য দু’টি উটনী অথবা তিনটি আয়াত শিক্ষা দেয়া তার জন্য তিনটি উটনী অথবা চারটি আয়াত শিক্ষা দেয়া তার জন্য চারটি উটনীর চেয়েও উত্তম। সারকথা কুরআনের যে কোন সংখ্যক আয়াত, একই সংখ্যক উটনীর চেয়ে উত্তম। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৮০৩, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩০০৭৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৪১৮, সহীহ আল জামি‘ ২৬৯৭।