পরিচ্ছদঃ
প্রথম অনুচ্ছেদ
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «لِكُلِّ نَبِىِّ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةٌ فَتَعَجَّلَ كُلُّ نَبِىِّ دَعْوَتَه وَإِنِّىْ اِخْتَبَأْتُ دَعْوَتِىْ شَفَاعَةً لِأُمَّتِىْ إِلٰى يَوْمِ القِيَامَةِ فَهِىَ نَائِلَةٌ إِنْ شَآءَ اللّٰهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِىْ لَا يُشْرِكُ بِاللّٰهِ شَيْئًا». رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَلِلْبُخَارِىِّ أَقْصَرُ مِنْهُ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীকেই একটি (বিশেষ) কবূলযোগ্য দু‘আ করার অধিকার দেয়া রয়েছে। প্রত্যেক নাবীই সেই দু‘আর ব্যাপারে (দুনিয়াতেই) তাড়াহুড়া করেছেন। কিন্তু আমি আমার উম্মাতের শাফা‘আত হিসেবে আমার দু‘আ কিয়ামাত পর্যন্ত স্থগিত করে রেখেছি। ইনশা-আল্ল-হ! আমার উম্মাতের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে আমার এ দু‘আ এমন উপকৃত হবে, যে আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শারীক না করে মৃত্যুবরণ করেছে। (মুসলিম; তবে বুখারীতে এর চেয়ে কিছু কম বর্ণনা করা হয়েছে)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৩০৪, মুসলিম ১৯৯, তিরমিযী ৩৬০২, ইবনু মাজাহ ৪৩০৭, আহমাদ ৭৭১৪, মু‘জামুল আওসাত ১৭২৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৫৮৩৭, শু‘আবূল ঈমান ৩০৮, সহীহ আল জামি‘ ৫১৭৬।
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ اتَّخَذْتُ عِنْدَكَ عَهْدًا لَنْ تُخْلِفَنِيهِ فَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَىُّ الْمُؤْمِنِينَ اٰذَيْتُه شَتَمْتُه لَعَنْتُه جَلَدْتُه فَاجْعَلْهَا لَه صَلَاةً وَزَكَاةً وَقُرْبَةً تُقَرِّبُه بِهَا إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ». (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে একটি ওয়া‘দা কামনা করছি, (আমার বিশ্বাস) সে ওয়া‘দাপানে কক্ষনো তুমি আমাকে বিমুখ করবে না। আমি তো মানুষ মাত্র। তাই আমি কোন মু’মিনকে কষ্ট দিয়েছি, গালি দিয়েছি, অভিশাপ দিয়েছি বা মেরেছি- আমার এ কাজকে তুমি তার জন্য কিয়ামাতের দিন রহমত, পবিত্রতা ও তোমার নৈকট্য লাভের উপায় বানিয়ে দাও। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ৬৩৬১, মুসলিম ২৩০১, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৫৪৮, আহমাদ ৯৮০২, দারিমী ২৮০৭, সহীহাহ্ ৩৯৯৯, সহীহ আল জামি‘ ১২৭৩।