পরিচ্ছদঃ ১২.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৮৬১
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৮৬১
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللهِ ﷺ عَلَى أَصْحَابِه فَقَرَأَ عَلَيْهِمْ سُورَةَ الرَّحْمنِ مِنْ أَوَّلِهَا إِلى اۤخِرِهَا فَسَكَتُوا فَقَالَ لَقَدْ قَرَأْتُهَا عَلَى الْجِنِّ لَيْلَةَ الْجِنِّ فَكَانُوْا أَحْسَنَ مَرْدُودًا مِنْكُمْ كُنْتُ كُلَّمَا أَتَيْتُ عَلى قَوْلِه ﴿فَبِأَيِّ الَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ﴾ قَالُوا لَا بِشَيْءٍ مِّنْ نِعَمِكَ رَبَّنَا نُكَذِّبُ فَلَكَ الْحَمْدُ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وقال هذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কিছু সাহাবীগনের কাছে এলেন। তাদেরকে তিনি সুরাহ আর রাহমানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করে শুনালেন। সাহাবীগন চুপ হয়ে শুনলেন। তারপর রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই সুরাটি আমি ‘লায়লাতুল জিন্নি’ (জিনদের সাথে দেখা হবার রাতে) জিনদের পড়ে শুনিয়েছি। জিনেরা তোমাদের চেয়ে এর উত্তর ভালো দিয়েছে। আমি যখনই “তোমাদের রবের কোন নিয়ামাতকে তোমরা অস্বীকার করতে পারবে” পর্যন্ত পৌঁছেছি তখনই তারা বলে উঠেছে, “হে আমাদের রব! আমরা তোমার কোন নি’আমাতকে অস্বীকার করিনা। তোমারই সব প্রশংসা। তিরমিযী বলেছেন, এ হাদিসটি গরীব। [১]
[১] হাসান : তিরমিযী ৩২৯১, সহীহ আল জামি‘ ৫১৩৮। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ আমরা হাদীসটি যুহায়র ইবনু মুহাম্মাদ -এর সূত্রে আল্ ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম থেকেই পেয়েছি। আহমাদ ইবনু হাম্বাল বলেনঃ শামের (সিরিয়ার) অধিবাসী যুহায়র ইবনু মুহাম্মাদ থেকে ‘ইরাক্বের অধিবাসী ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম হাদীস বর্ণনা করেননি। যেন তিনি অপর একজন ব্যক্তি যার নাম তারা তার থেকে বর্ণিত মুনকার হাদীসসমূহ ত্রুটিমুক্ত করার জন্য তার নাম পরিবর্তন করেছে। [ইমাম তিরমিযী (রহঃ)] বলেনঃ আমি ইমাম বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, শামবাসীগণ ও ‘ইরাক্ববাসী যুহায়র ইবনু মুহাম্মাদ থেকে অনেক মুনকার হাদীস বর্ণনা করেছে। আলবানী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি আল্ ওয়ালীদ ইবনু মুসলিম যুহায়র ইবনু মুহাম্মাদ আশ্ শামী থেকে বর্ণনা করেছেন। অতএব, হাদীসটি এ সানাদে মুনকার। তাই ইমাম হাকিম-এর মুস্তাদরাকে হাকিমে বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী হাদীসটিকে সহীহ বলা সঠিক তা থেকে অনেক দূরবর্তী বিষয়। কারণটি উপরেই বিবৃত হয়েছে। তবে হাদীসটির ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিত একটি শাহিদ হাদীস রয়েছে যেটি ইবনু জারীর আত্ ত্ববারী তার তাযামীরে এবং খত্বীব বাগদাদী তার تَارِيْخُ بَغْدَادِ (তা-রীখু বাগদা-দ)-এ এবং বাযযার সহ আরো অনেকে বর্ণনা করেছেন। আর তাদের রাবীগণ সকলেই বিশ্বস্ত তবে ইয়াহ্ইয়া ইবনু সুলায়ম আত্ব ত্বয়িফী ব্যতীত যার স্মৃতিশক্তিতে দুর্বলতা রয়েছে। যদিও বুখারী মুসলিম তার হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। অতএব সার্বিক দিক বিবেচনায় হাদীসটি হাসান যদি আল্লাহ চায়। আর ইমাম সুয়ূত্বী (রহঃ) اَلدَّرُّ الْمَنْسُوْرُ (আদ্ দাররুল মানসূর) গ্রন্থে হাদীসের সানাদটি সহীহ আখ্যায়িত করায় শিথিলতা রয়েছে।