পরিচ্ছদঃ ৪১.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৩৩৮
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৩৩৮
وَعَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ قَالَ: صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِىْ طَرِيقِ مَكَّةَ فَصَلّى لَنَا الظُّهْرَ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ جَاءَ رَحْلَه وَجَلَسَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ: مَا يَصْنَعُ هَؤُلَاءِ؟ قُلْتُ: يُسَبِّحُونَ. قَالَ: لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلَاتِي. صَحِبْتُ رَسُولِ اللّهِ ﷺ فَكَانَ لَا يَزِيْدُ فِي السَّفَرِ عَلى رَكْعَتَيْنِ وَأَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ كَذلِك. (مُتَّفق عَلَيْهِ)
হাফস ইবনু ‘আসিম (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার মাক্কাহ্-মাদীনার পথে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমারের সাথে থাকার আমার সোভাগ্য ঘটেছ। (যুহরের সালাতের সময় হলে) তিনি আমাদেরকে দু’রাক্’আত সলাত (জামা’আতে) আদায় করালেন। এখান থেকে তাঁবুতে ফিরে গিয়ে তিনি দেখলেন লোকেরা দাঁড়িয়ে আছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন লোকেরা কি করছে? আমি বললাম তারা নাফ্ল সলাত আদায় করছে। তিনি বললেন, আমাকে যদি নাফ্ল সালাতই আদায় করতে হয়, তাহলে ফার্য সলাতই তো পরিপূর্ণভাবে আদায় করা বেশী ভালো ছিল। কিন্তু যখন সহজ করার জন্য ফার্য সলাত ক্বস্র আদায়ের হুকুম হয়েছে তখন তো নফল সলাত ছেড়ে দেয়াই উত্তম। আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে থাকার সৌভাগ্যও পেয়েছি। তিনি সফরের অবস্থায় দু’রাক’আতের বেশী (ফার্য) সলাত আদায় করতেন না। আবূ বাক্র, ‘উমার, উসমান (রাঃ) এর সাথে চলারও সুযোগ আমার হয়েছে। তাঁরাও এভাবে দু’ রাক’আতের বেশী আদায় করতেন না। (বুখারী, মুসলিম) [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১১০২, মুসলিম ৬৮৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৫০৭, আবূ দাঊদ ১২২৩।