পরিচ্ছদঃ ৩৬.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১২৮৮
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১২৮৮
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ عَلى احَدٍ أَوْ يَدْعُوَ لِأَحَدٍ قَنَتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ فَرُبَّمَا قَالَ إِذَا قَالَ: «سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَه رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ: اللّهُمَّ أَنْج الْوَلِيْدَ بْنِ الْوَلِيْدِ وَسَلَمَةَ ابْنِ هِشَامٍ وَعَيَّاشَ بْنِ رَبِيْعَةَ اللّهُمَّ اشْدُدْ وَطْأَتَكَ عَلى مُضَرَ وَاجْعَلْهَا سِنِينَ كَسِنِىْ يُوسُفَ» يَجْهَرُ بِذلِكَ وَكَانَ يَقُوْلُ فِي بَعْضِ صَلَاتِه: «اللّهُمَّ الْعَنْ فُلَانًا وَفُلَانًا لِأَحْيَاءٍ مِنَ الْعَرَبِ» حَتّى أَنْزَلَ اللّهُ: ﴿لَيْسَ لَكَ مِنَ الْأَمْرِ شَيْءٌ﴾ [سوره آل عمران 3 : 128] الْآيَة. (مُتَّفق عَلَيْهِ)
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন লোককে বদ্দু‘আ অথবা কোন লোককে দু‘আ করতে চাইলে রুকূ‘র পরে কুনূত পড়তেন। তাই কোন কোন সময় তিনি, ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ, রাব্বানা- লাকাল হাম্দু’ বলার পরে এ দু‘আ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা আন্জিল ওয়ালীদ ইবনিল ওয়ালীদ। ওয়া সালামাতাব্নি হিশা-ম, ওয়া ‘আইয়্যা-শাব্নি রবী‘আহ্, আল্লা-হুম্মাশ্দুদ ওয়াত্ব আতাকা ‘আলা-মুযারা ওয়াজ্‘আল্হা- সিনীনা কাসিনী ইউসুফা’। অর্থাৎ ‘হে আল্লাহ! ওয়ালীদ ইবনু ওয়ালীদকে সালামাহ্ ইবনু হিশামকে, ‘আইয়্যাশ ইবনু আবূ রবী‘আকে তুমি মুক্তি দান করো। হে আল্লাহ! ‘মুয়ায জাতির’ ওপরে তুমি কঠিন ‘আযাব নাযিল করো। আর এ ‘আযাবকে তাদের ওপর ইউসুফ (আঃ) -এর বছরগুলোর ন্যায় দুর্ভিক্ষের রূপ ধারণ করে দাও।’ তিনি উচ্চৈঃস্বরে এ দু‘আ পড়তেন। কোন কোন সালাতে তিনি (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘আরবে এসব গোত্রের জন্যে এভবে দু‘আ করতেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি অমুক অমুকের ওপর অভিশাপ বর্ষণ করো।’ তারপর আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াত নাযিল করেছেন, ‘লাইসা লাকা মিনাল আম্রি শাইয়ুন’ অর্থাৎ “এ ব্যাপারে আপনার কোন দখল নেই”- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১২৮)। (বুখারী, মুসলিম) [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৪৫৬০, মুসলিম ৬৭৭; শব্দ বিন্যাস মুসলিমের।