পরিচ্ছদঃ ৩৬.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১২৮৯
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১২৮৯
وَعَن عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ قَالَ: سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الْقُنُوتِ فِي الصَّلَاةِ كَانَ قَبْلَ الرُّكُوعِ أَوْ بَعْدَه؟ قَالَ: قَبْلَه إِنَّمَا قَنَتَ رَسُولَ اللّهِ ﷺ بَعْدُ الرُّكُوعِ شَهْرًا إِنَّه كَانَ بَعَثَ أُنَاسًا يُقَالُ لَهُمْ الْقُرَّاءُ سَبْعُونَ رَجُلًا فَأُصِيْبُوا فَقَنَتَ رَسُولَ اللّهِ ﷺ بَعْدَ الرُّكُوعِ شَهْرًا يَدْعُو عَلَيْهِمْ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
‘আসিম আল আহ্ওয়াল (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) -কে “দু‘আয়ে কুনূত” ব্যাপারে প্রশ্ন করেছি যে, এটা সলাতে রুকূ‘র পূর্বে পড়া হয়, না পরে? আনাস বললেন, রুকূ‘র পূর্বে। তিনি আরো বললেন, রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (ফাজ্রের সলাতে অথবা সকল সলাতে রুকূ‘র পরে দু‘আয়ে) কুনূত পড়েছেন শুধু একবার। (তারও কারণ ছিল) রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কিছু লোককে, যাদেরকে ক্বারী বলা হত, তাদের সংখ্যা ছিল সত্তরজন (তাবলীগের জন্য) কোথাও পাঠিয়েছিলেন। ওখানকার লোকেরা তাদেরকে শাহীদ করে দিয়েছে। সেজন্য রসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক মাস পর্যন্ত রুকূ‘র পরে দু‘আয়ে কুনূত পড়ে হত্যাকারীদের জন্যে বদদু‘আ করেছেন। (বুখারী, মুসলিম) [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৪০৯৬, মুসলিম ৬৭৭।