পরিচ্ছদঃ ৩.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৮৮
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৮৮
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي رَجُلٌ شَابٌّ وَأَنَا أَخَافُ عَلى نَفْسِي الْعَنَتَ وَلَا أَجِدُ مَا أَتَزَوَّجُ بِهِ النِّسَاءَ كَأَنَّهٗ يَسْتَأْذِنُهٗ فِيْ الْإِخْتِصَاءِ قَالَ فَسَكَتَ عَنِّيْ ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذلِكَ فَسَكَتَ عَنِّيْ ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذلِكَ فَسَكَتَ عَنِّيْ ثُمَّ قُلْتُ مِثْلَ ذلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ! جَفَّ الْقَلَمُ بِمَا أَنْتَ لَاقٍ فَاخْتَصِ عَلى ذلِكَ أَوْ ذَرْ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি একজন যুবক মানুষ। তাই আমি আমার সম্পর্কে ব্যভিচারের জড়িয়ে পড়ার আশংকা করছি। অথচ কোন নারীকে বিবাহ করার (আর্থিক) সঙ্গতিও আমার নেই। আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) যেন খাসী হবার অনুমতিই প্রার্থনা করছিলেন। আবূ হুরায়রাহ বলেন, এ কথা শুনে তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যুত্তর না দিয়ে নীরব থাকলেন। আমি আবারও অনুরূপ প্রশ্ন করলাম। এবারও তিনি নীরব থাকলেন। সুতরাং আমি ঐরূপ প্রশ্ন করলাম, এবারও তিনি নীরব থাকলেন। আমি চতুর্থবার সেরূপ প্রশ্ন করলে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হে আবূ হুরায়রাহ! তোমার জন্য যা ঘটবার আছে তা আগে থেকেই তোমার ভাগ্যে নির্ধারিত হওয়ার মাধ্যমে কলম শুকিয়ে গেছে। এখন তুমি এটা জেনে খাসীও হতে পার বা এমন ইচ্ছা পরিত্যাগও করতে পার। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৪৬৮৬ (সানাদ ছাড়া বর্ণনা করেছেন), নাসায়ী ৩২১৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩৪৬৫, সহীহ আল জামি‘ ৭৮৩২। اَلْعَنَتُ (আল ‘আনাত) এ হাদীসের দ্বারা যিনা, ব্যভিচার উদ্দেশ্য। ‘আল্লামা মুয্হির বলেন : যা কিছু ঘটেছে এবং যা কিছু ঘটছে বা ভবিষ্যতে ঘটবে সবকিছুই অনন্তকালে নির্ধারিত। অতএব, খাসীকরণ বা খোজাকরণে কোন উপকার নেই। চাইলে তুমি করতে পারো বা নাও করতে পারো। এ কথাটি খাসীকরণ বা খোজাকরণের ব্যাপারে অনুমতি নেই এবং অনর্থক একটি অঙ্গহানীর কারণে অনুমতি প্রার্থনায় এটি তিরস্কার বা ভৎর্সনা। (মিরকাত)