পরিচ্ছদঃ ১২.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৮২৬
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৮২৬
وَعَنْ أَبِيْ مُوْسى اَلأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا صَلَّيْتُمْ فَأَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذا قَالَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ يُجِبْكُمُ اللّهُ فَإِذَا كَبَّرَ وَرَكَعَ فَكَبِّرُوا وَارْكَعُوْا فَإِنَّ الْإِمَامَ يَرْكَعُ قَبْلَكُمْ وَيَرْفَعُ قَبْلَكُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فَتِلْكَ بِتِلْكَ وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللّهُ لِمَنْ حَمِدَه فَقُولُوا اللّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ يَسْمَعُ اللّهُ لَكُمْ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবূ মূসা আল্ আশ্‘আরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা যখন জামা‘আতে সলাত আদায় করবে, তোমাদের কাতারগুলোকে সোজা করবে। এরপর তোমাদের কেউ তোমাদের ইমাম হবে। ইমাম তাকবীর তাহরীমা ‘আল্ল-হু আকবার’ বললে, তোমরাও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলবে। ইমাম “গাইরিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায্ যোয়াল্লীন” বললে, তোমরা আমীন বলবে। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দু‘আ ক্ববুল করবেন। ইমাম রুকূতে যাবার সময় ‘আল্ল-হু আকবার’ বলবে ও রুকূ‘তে যাবে। তখন তোমরাও ‘আল্ল-হু আকবার’ বলে রুকূতে যাবে। ইমাম তোমাদের আগে রুকু‘ করবে। তোমাদের আগে রুকূ‘ হতে মাথা উঠাবে। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা ওটার পরিবর্তে (অর্থাৎ তোমরা পরে রুকূ‘তে গেলে, আর পরে মাথা উঠালে ও ইমাম আগে রুকূ‘তে গেলে আর আগে মাথা উঠালে, উভয়ের সময় এক সমান হয়ে গেল)। এরপর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইমাম “সামি‘আল্ল-হু লিমান হামিদাহ” বলবে, তোমরা বলবে “আল্ল-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হাম্দ” আল্লাহ তোমাদের প্রশংসা শুনেন। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ৪০৪, আবূ দাঊদ ৯৭২, নাসায়ী ১২৮০, আহমাদ ১৯৫০৫, সহীহ ইবনু হিব্বান ২১৬৭, সহীহ আল জামি‘ ৬৭৩। فَتِلْكَ بِتِلْكَ -এর অর্থ বর্ণনায় ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ ইমাম যে সময়টুকু তোমাদের আগে রুকূ‘তে গিয়ে অতিবাহিত করছে। ইমাম রুকূ‘ থেকে উঠার পর তোমরা সে সময়টুকু রুকূ‘তে অবস্থান করো তা দ্বারা ইমামের আগে যাওয়ার সময়টুকু পূরণ হয়ে যায়। ফলে তোমাদের এ মুহূর্তটি তার যে সময়ের সমান হয় এবং তোমাদের রুকূ‘র স্থায়িত্বটা তার রুকূ‘র স্থায়িত্বের সমান হয়।