পরিচ্ছদঃ ১০.

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৮০১

عَنْ اَبِىْ حُمَيْدٍ السَّاعِدِىِّ قَالَ فِىْ عَشَرَةٍ مِنْ اَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ اَنَا اَعْلَمُكُمْ بِصَلَاةِ رَسُوْل اللهِ ﷺ قَالُوْا فَاعْرِضْ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِذَا قَامَ اِلَى الصَّلَاةِ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتّى يُحَاذِىَ بِهِمَا مَنْكَبِيْهِ ثُمَّ يُكَبِّرُ ثُمَّ يَقْرَاُ ثُمَّ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتّى يُحَاذِىَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ ثُمَّ يَرْكَعُ وَيَضَعُ رَاحَتَيْهِ عَلى رُكْبَتَيْهِ ثُمَّ يَعْتَدِلُ فَلَا يُصَبِّىْ رَاْسَه وَلَا يُقْنِعُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَاْسَه فَيَقُوْلُ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَه ثُمَّ يَرْفَعُ يَدَيْهِ حَتّى يُحَاذِىَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ مُعْتَدِلًا ثُمَّ يَقُوْلُ الله اَكْبَرُ ثُمَّ يَهْوِىْ اِلَى الاَرْضِ سَاجِدًا فَيُجَافِىْ يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيٍْهِ وَيَفْتَحُ اَصَابِعَ رِجْلَيْهِ ثُمَّ يَرْفَعُ رَاْسَه وَيَثْنٍىْ رِجْلَهُ الْيُسْرى فَيَقْعُدُ عَلَيْهَا ثُمَّ يَعْتَدِلُ حَتّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ فِىْ مَوْضِعٍ مُعْتَدِلًا ثُمَّ يَسْجُدُ ثُمَّ يَقُوْلُ اللهُ اَكْبَرُ وَيَرْفَعُ وَيَثْنِىْ رِجْلَهُ الْيُسْرى فَيَقْعُدَ عَلَيْهَا ثُمَّ يَعْتَدِلُ حَتّى يَرْجِعَ كُلُّ عَظْمٍ اِلى مَوْضِعِه ثُمَّ يَنْهَضُ ثُمَّ يَصْنَعُ فِى الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ ذلِكَ ثُمَّ إِذَا قَامَ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ كَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتّى يُحَاذِىَ بِهِمَا مَنْكِبَيْهِ كَمَا كَبَّرَ عِنْدَ اِفْتِتَاحِ الصَّلَاةِ ثُمَّ يَصْنَعُ ذلِكَ فِىْ بَقِيَّةِ صَلَاتِه حَتّى إِذَا كَانَتِ السَّجْدَةُ الَّتِىْ فِيْهَا التَّسْلِيْمُ اَخْرَجَ رِجْلَهُ الْيُسْرى وَقَعَدَ مُتَوَرِّكًا عَلى شِقِّهِ الاَيْسَرِ ثُمَّ سَلَّمَ قَالُوْا صَدَقْتَ هكَذَا كَانَ يُصَلِّىْ- رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ وَالدَّارِمِيُّ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَةَ مَعْنَاهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هذَا حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ وَّفِىْ رِوَايَةٍ لَابِىْ دَاؤُدَ مِنْ حَدِيْثِ اَبِىْ حُمَيْدٍ ثُمَّ رَكَعَ فَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلى رُكْبَتَيْهِ كَاَنَّه قَابِض عَلَيْهِمَا وَوَتَّرَ يَدَيْهِ فَنَحَّاهُمَا عَنْ جَنْبَيْهِ وَقَالَ ثُمَّ سَجَدَ فَاَمْكَنَ اَنْفَه وَجَبْهَتَهُ الاَرْضَ وَنَحّى يَدَيْهِ عَنْ جَنْبَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ وَفَرَّجَ بَيْنَ فَخِذَيْهِ غَيْرَ حَامِلٍ بَطْنَه عَلى شَىْءٍ مِّنْ فَخِذَيْهِ حَتّى فَرَغَ ثُمَّ جَلَسَ فَافْتَرَشَ رِجْلَهُ الْيُسْرى وَاَقْبَلَ بِصَدْرِ الْيُمْنى عَلى قِبْلَتِه وَوَضَعَ كَفَّهُ الْيَمْنى عَلى رُكْبَتِهِ الْيُمْنى وَكَفَّهُ الْيُسْرى عَلى رُكْبَتِهِ الْيُسْرى وَاَشَارَ بِاِصْبِعِه يَعْنِىْ السَّبَّابَةَ- وَفِىْ اُخْرى لَه وَاِذَا قَعَدَ فِى الرَّكْعَتَيْنِ قَعَدَ عَلى بَطْنِ قَدَمِهِ الْيُسْرى وَنَصَبَ الْيُمْنى وَاِذَا كَانَ فِى الرَّابِعَةِ اَفْضى بِوَرِكِهِ الْيُسْرى اِلَى الْاَرْضَ وَاَخْرَجَ قَدَمَيْهِ مِنْ نَّاحِيَةٍ وَّاحِدَةٍ.

আবূ হুমায়দ আস্ সা‘ইদী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দশজন সাহাবীর উপস্থিতিতে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সলাত সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে বেশি জানি। তারা বললেন, তা আমাদেরকে বলুন। তিনি বললেন, তিনি সলাতের জন্য দাঁড়ালে দু’হাত উঠাতেন। এমনকি তা দু’কাধঁ বরাবর উপরে তুলতেন। তারপর তাকবীর বলতেন। এরপর “ক্বিরাআত” পাঠ করতেন। এরপর রুকু’তে যেতেন। দু’হাতের তালু দু’হাটুর উপর রাখতেন। পিঠ সোজা রাখতেন। অর্থাৎ মাথা নীচের দিকেও ঝুকাতেন না আবার উপরের দিকেও উঠাতেন না। এরপর (রুকূ থেকে) মাথা উঠিয়ে বলতেনঃ “সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ”। তারপর সোজা হয়ে হাত উপরে উঠাতেন। এমনকি তা কাঁধ বরাবর করতেন এবং বলতেন, “আল্লাহু-আকবার”। এরপর সাজদাহ্‌ করার জন্য জমিনের দিকে ঝুঁকতেন। সাজদার মধ্যে দুই হাতকে বাহু থেকে আলাদা করে রাখতেন। দু’পায়ের আঙ্গুলগুলোকে ক্বিবলার দিকে ফিরিয়ে দিতেন। তারপর মাথা উঠাতেন। বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসতেন। এরপর সোজা হয়ে থাকতেন। যাতে তাঁর সমস্ত হাড় নিজ নিজ জায়গায় এসে যায়।তারপর তিনি দাঁড়াতেন। দ্বিতীয় রাক’আতও এভাবে আদায় করতেন। দু’রাক্’আত আদায় করে দাঁড়াবার পর তাকবীর বলতেন ও কাঁধ পর্যন্ত দু’হাত উঠাতেন। যেভাবে প্রথম সলাত শুরু করার সময় করতেন। এরপর তার বাকী সলাত এভাবে আদায় করতেন। শেষ রাক্’আতে শেষ সাজদার পর, যার পরে সালাম ফিরানো হয়, নিজের বাম পা ডান দিকে বের করে দিতেন এবং এর উপর বসতেন। তারপর সালাম ফিরাতেন। তারা বলেন, আপনি সত্য বলেছেন। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এভাবেই সলাত আদায় করতেন। [১] আর তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ এ বর্ণনাটিকে এই অর্থে নকল করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ।আবূ দাঊদের আর এক বর্ণনায় আবূ হুমায়দ এর হাদীসে আছে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রুকু’ করলেন। দু’হাত দিয়ে দু’হাটু আঁকড়ে মজবুত করে ধরলেন। এ সময় তাঁর দু’হাত ধনুকের মত করে দু’ পাঁজর হতে পৃথক রাখলেন। আবূ হুমায়দ (রাঃ) আরও বলেন, এরপর তিনি সাজদাহ্‌ করলেন। নাক ও কপাল মাটির সাথে ঠেকালেন। দু’হাতকে পাঁজর হতে পৃথক রাখলেন। দু’হাত কাঁধ সমান জমিনে রাখলেন। দু’উরুকে রাখেলন পেট থেকে আলাদা করে। এভাবে তিনি সাজদাহ্‌ করলেন। তারপর ইনি বাম পা বিছিয়ে দিয়ে এর উপর বসলেন। ডান পায়ের সম্মুখ ভাগকে ক্বিবলার দিকে ফিরিয়ে দিলেন। ডান হাতের তালু ডান উরুর উপর এবং বাম হাতের তালু বাম উরুর উপর রাখলেন এবং শাহাদাত অঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করলেন। আবূ দাঊদ-এর আর এক বর্ণনায় আছে, তিনি দুই রাক্’আতের পর বাম পায়ের পেটের উপর বসতেন। ডান পা রাখতেন খাঁড়া করে। তিনি চতুর্থ রাক’আতে বাম নিতম্বকে জমিনে ঠেকাতেন, আর পা দু’টিকে একদিক দিয়ে বের করে দিতেন (ডান দিকে)। [2]

[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৭৩০, ৯৬৩; দারিমী ১৩৯৬। তবে উরুদ্বয়ের মাঝে ফাঁকা রাখার বিষয়ে যে কথাটি এসেছে তা দুর্বল।[2] সহীহ : আবূ দাঊদ ৭৩১-৭৩৫।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন