পরিচ্ছদঃ ৭.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৭৪৩
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৭৪৩
وَعَنِ الْحَسَنِ مُرْسَلًا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَاْتِىْ عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَّكُوْنُ حَدِيْثُهُمْ فِىْ مَسَاجِدِهِمْ فِىْ اَمْرِ دُنْيَاهُمْ فَلَا تُجَالِسُوْهُمْ فَلَيْسَ لِلّهِ فِيْهِمْ حَاجَةٌ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فى شُعَبُ الإِيْمَان
হাসান বসরী (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ অচিরেই এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ মাসজিদে বসে নিজেদের দুনিয়াদারীর কথাবার্তা বলবে। অতএব তোমরা এসব লোকেদের গল্প- গুজবে বসবে না। আল্লাহ তা’আলার এমন লোকের প্রয়োজন নেই। [১]
[১] বায়হাক্বী-এর ‘‘শু‘আবুল ঈমান’’ ২৯৬২, হাকিম ৭৯১৬, সহীহাহ্ ১১৬৩। আলবানী (রহঃ) বলেনঃ বায়হাক্বী হাদীসটি মাওযুল সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর ত্ববারানী আল্ মু‘জাম আল্ কাবীরে এবং আবূ ইসহাক আল-ফাওয়ায়িদুল মুনতাখাবা হতে ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)-এর বরাতে মারফূ‘ সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যার সানাদে বাযী‘ আবুল খলীল নামে একজন রাবী রয়েছে যাকে হায়সামী মিথ্যুক বলেছেন। কিন্তু হাফিয ‘ইরাক্বী বলেনঃ হাদীসটি ইবনু হিব্বান ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) থেকে এবং হাকিম আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করে তার সানাদটি সহীহ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আর ইবনু হিব্বান দ্বারা সহীহ ইবনু হিব্বান উদ্দেশ্য। এর উপর ভিত্তি করে বলা যায় তার হাদীসটি বাযী‘-এর সূত্রে নয়। আলবানী (রহঃ) বলেনঃ কিন্তু আনাস (রাঃ)-এর হাদীসটি আমি এখন পর্যন্ত হাকিমে পাইনি। যেটি আবূ ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) আল্ ফাল্লাকী তার ‘‘ফাওয়ায়িদ’’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছে।