পরিচ্ছদঃ ২.
প্রথম অনুচ্ছেদ
وَسْوَسَةٌ (ওয়াস্ওয়াসাহ্) বলা হয় অস্পষ্ট বা গুপ্ত আওয়াজকে। কারো কারো মতে অন্তরে যেসব চিন্তার উদয় ঘটে তা-ই ওয়াস্ওয়াসাহ্, যদি সেগুলো পাপ এবং নিকৃষ্ট কাজের দিকে আহবান করে। আর যদি আল্লাহর আনুগত্যমূলক বা সন্তোষজনক চরিত্রের দিকে আহবান করে তাহলে তাকে ইলহাম বলা হয়। তবে وَسْوَسَةٌ হলো দ্বিধাযুক্ত একটি বিষয় যা কারো কাছে স্থির হয় না।
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৭১
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৭১
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ : «إِنَّ إِبْلِيسَ يَضَعُ عَرْشَهٗ عَلَى الْمَاءِ ثُمَّ يَبْعَثُ سَرَايَاهُ يَفْتِنُوْنَ النَّاسَ فَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَنْزِلَةً أَعْظَمُهُمْ فِتْنَةً يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ فَعَلْتُ كَذَا وَكَذَا فَيَقُولُ مَا صَنَعْتَ شَيْئًا قَالَ ثُمَّ يَجِيءُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ مَا تَرَكْتُهٗ حَتّى فَرَّقْتُ بَيْنَهٗ وَبَيْنَ امْرَأَتِه قَالَ فَيُدْنِيهِ مِنْهُ وَيَقُولُ نِعْمَ أَنْتَ» قَالَ الْأَعْمَشُ أُرَاهُ قَالَ : فَيَلْتَزِمُهٗ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : ইবলীস (শায়ত্বন) সমুদ্রের পানির উপর তার সিংহাসন স্থাপন করে। অতঃপর মানুষের মধ্যে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য সেখান থেকে তার বাহিনী চারদিকে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে সে শায়ত্বনই তার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত যে শয়তান মানুষকে সবচেয়ে বেশী ফিতনায় নিপতিত করতে পারে। তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বলে, আমি এরূপ এরূপ ফিতনাহ্ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছি। তখন সে (ইবলীস) প্রত্যুত্তরে বলে, তুমি কিছুই করনি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, অতঃপর এদের অপর একজন এসে বলে, আমি মানব সন্তানকে ছেড়ে দেইনি, এমনকি দম্পতির মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিয়েছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, শয়তান এ কথা শুনে তাকে নিকটে বসায় আর বলে, তুমিই উত্তম কাজ করেছো। বর্ণনাকারী আ’মাশ বলেন, আমার মনে হয় জাবির (রাঃ) এটাও বলেছেন যে, “অতঃপর ইবলীস তার সাথে আলিঙ্গন করে”। [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৮১৩, সহীহাহ্ ৩২৬১, সহীহ আত্ তারগীব ২০১৭, আহমাদ ১৪৩৭৭। এখানে تَرَكْتُهٗ -এর মধ্যকার (هٗ) দ্বারা সে ব্যক্তি উদ্দেশ্য যাকে কুমন্ত্রণা দিয়েছে।