পরিচ্ছদঃ ৫.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৬৭০
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৬৭০
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَوْ بَعْضِ أَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ بِلَالًا أَخَذَ فِي الْإِقَامَةِ فَلَمَّا أَنْ قَالَ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ قَالَ رَسُوْلُ الله ﷺ أَقَامَهَا اللّهُ وَأَدَامَهَا وَقَالَ فِي سَائِرِ الْإِقَامَةِ كَنَحْوِ حَدِيثِ عُمَرَ فِي الْأَذَان. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ
আবূ উমামাহ অথবা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন সহাবী হতে বর্ণিতঃ
একবার বিলাল ইক্বামাত দিতে শুরু করলেন। তিনি যখন “ক্বদ ক্বা-মাতিস সলা-হ্” বললেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “আক্বা-মাহাল্ল-হু ওয়া আদা-মাহা-“ (আল্লাহ সলাতকে ক্বায়িম করুন এ একে চিরস্থায়ী করুন)। বাকী সব ইক্বামাতে ‘উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে আযানের উত্তরে যেরূপ উল্লেখ রয়েছে সেরূপই বললেন। [১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৫২৮, ইরওয়া ২৪১। কারণ এর সানাদে একজন অপরিচিত ও দু’জন দুর্বল রাবী রয়েছে।বিঃ দ্রঃ যখন হাদীসটির দুর্বলতা প্রমাণিত হয়ে যায় তখন সে হাদীসের প্রতি দু’টি কারণে ‘আমাল করা যাবে না। প্রথমত হাদীসটি ফাযীলাত সংক্রান্ত নয় কারণ قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ -এর সময় أَقَامَهَا اللّهُ وَأَدَامَهَا বলা শারী‘আতসম্মত নয় এবং অন্য কোন হাদীসে এর ফাযীলাত বর্ণিত হয়নি যে, বলা হবে এটি ফাযীলাত সংক্রান্ত ‘আমাল যার প্রতি ‘আমাল করা যাবে। পক্ষান্তরে এটিকে কেবলমাত্র এ ধরনের দুর্বল হাদীস দ্বারা প্রমাণিত করে শারী‘আত সম্মত করাটা শারী‘আতের নীতির অনেক দূরবর্তী বিষয় যা গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিতীয়ত এটি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যাপক উক্তির পরিপন্থী। যেখানে তিনি বলেছেন যখন তোমরা মুয়াযযিনকে আযান বা ইক্বামাত বলতে শুনবে তখন তোমরা তার মতো বলো.....। তাই হাদীসটি তার ব্যাপকতার উপর রাখাটাই আবশ্যক। অতএব, আমরা ইক্বামাতের সময় قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ বলব।