পরিচ্ছদঃ

তৃতীয় অনুচ্ছেদ

মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৪১

وَعَنْ عُثْمَانَ قَالَ إِنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ حِينَ تُوُفِّيَ حَزِنُوا عَلَيْهِ حَتّى كَادَ بَعْضُهُمْ يُوَسْوِسُ قَالَ عُثْمَانُ وَكُنْتُ مِنْهُمْ فَبَيْنَا أَنَا جَالِسٌ مَرَّ عَلَيَّ عُمَرُ وَسَلَّمَ فَلَمْ أَشْعُرْ بِه فَأَشْتَكى عُمَرُ إِلَى أَبِيْ بَكْرٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُمَا ثُمَّ أَقْبَلَا حَتّى سَلَّمَا عَلّيَّ جَمِيْعًا فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ مَا حَمَلَكَ عَلى أَنْ لَّا تَرُدَّ عَلى أَخِيْكَ عُمَرَ سَلَامَه قُلْتُ مَا فَعَلْتُ فَقَالَ عُمَرُ بَلى وَاللهِ لَقَدْ فَعَلْتَ قَالَ قُلْتُ وَاللهِ مَا شَعَرْتُ أَنَّكَ مَرَرْتَ وَلَا سَلَّمْتَ قَالَ أَبُوْ بَكْرٍ صَدَقَ عُثْمَانُ وَقَدْ شَغَلَكَ عَنْ ذلِكَ أَمْرٌ فَقُلْتُ أَجَلْ قَالَ مَا هُوَ؟ قُلْتُ تَوَفَّى اللّهُ تَعَالى نَبِيَّه ﷺ قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَه عَنْ نَجَاةِ هذَا الْأَمْرِ قَالَ أَبُوْ بَكْرٍ قَدْ سَأَلْتُه عَنْ ذلِكَ فَقُمْتُ إِلَيْهِ وَقُلْتُ لَه بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَنْتَ أَحَقُّ بِهَا قَالَ أَبُوْ بَكْرٍ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ مَا نَجَاةُ هذَا الْأَمْرِ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَنْ قَبِلَ مِنِّي الْكَلِمَةَ الَّتِي عَرَضْتُ عَلى عَمِّي فَرَدَّهَا عَلَيَّ فَهِيَ لَه نَجَاةٌ. رَوَاهُ أَحْمَدُ

‘উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন ইন্তিকাল হলো, (তাঁর ইন্তিকালে শোকাহত হয়ে) তাঁর সহাবীগণের মধ্যে কতক লোক অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। এমনকি সহাবীগণের কারো কারো মনে নানারূপ সন্দেহ-সংশয় দেখা দেয়। (তাঁর ইন্তিকালের পর এ দ্বীন টিকে থাকবে কি?) ‘উসমান (রাঃ) বলেন, আমিও তাদের অন্যতম ছিলাম। এমতাবস্থায় আমি বসেছিলাম আর ‘উমার আমার পাশ দিয়ে চলে গেলেন এবং আমাকে সালামও দিলেন, অথচ আমি তা টেরও পেলাম না। ‘উমার গিয়ে আমার বিরুদ্ধে আবূ বাকরের কাছে অভিযোগ পেশ করলেন। অতঃপর তাঁরা দু‘জন আমার নিকট আসলেন এবং উভয়ে আমাকে সালাম করলেন। অতঃপর আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, তোমার ভাই ‘উমারের সালামের জবাব কেন দিলে না? আমি বললাম, আমি তো এরূপ করিনি। (‘উমার আমার কাছে এসেছেন ও সালাম দিয়েছেন আর আমি উত্তর দেইনি, এমন তো হতে পারে না)। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয় তুমি এরূপ করেছো। ‘উসমান বললেন, আমি বললাম, আল্লাহর কসম, আমি মোটেই বুঝতে পারিনি আপনি কখন এখান দিয়ে গেছেন ও আমাকে সালাম করেছেন। (কথোপকথন শুনে) আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, ‘উসমান সত্যই বলেছেন। নিশ্চয়ই আপনাকে কোন দুশ্চিন্তাই হয়তো বিরত রেখেছিল। তখন আমি বললাম, জি, হতে পারে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে (ব্যাপারটা) কি? আমি বললাম, আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর রসূলকে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন অথচ আমরা তাঁকে একটি বিষয় (মনের অযথা খটকা) হতে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারিনি। আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, (চিন্তার কোন বিষয় নয়) আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি। (এটা শুনে) আমি আবূ বাকরের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম, আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আপনিই এ রকম কাজের যোগ্য ব্যক্তি। তারপর আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, আমি রসূলকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! এ বিষয়টি হতে মুক্তির উপায় কি? রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জবাবে বললেন, যে লোক সে কালিমা গ্রহণ করল, যা আমি আমার চাচা (আবূ তালিব)-কে বলেছিলাম এবং তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তার জন্য এটাই হল মুক্তির মাধ্যম। [১]

[১] য‘ঈফ: আহমাদ ২১, কারণ এর সানাদে একজন ‘‘মুবহাম’’ (নাম অস্পষ্ট) রাবী রয়েছে।অর্থাৎ- তাদের কেউ কেউ সন্দেহে বা কুমন্ত্রণায় পড়ে গেল যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করায় এ দ্বীন শেষ হয়ে যাবে এবং ইসলামী শারী‘আতের উজ্জ্বল প্রদীপ নির্বাপিত হবে- (মিরকাত)। সাহাবী ‘উসমান (রাঃ)-এর উক্তি عَنْ نَجَاةِ هَذَ الْاَمْرِ -এর দ্বারা দু’টি বিষয় উদ্দেশ্য হতে পারে। ১ম মতঃ মু’মিনদের বর্তমান অবস্থা, অর্থাৎ- তারা কিভাবে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ পাবে যা ইসলাম ধর্মের সাথে নির্দিষ্ট। ২য় মতঃ সকল মানুষের বর্তমান অবস্থা, অর্থাৎ- তারা যে শায়ত্বনের (শয়তানের) ধোঁকা, দুনিয়ার ভালোবাসা এবং কুপ্রবৃত্তির দিকে ধাবমান অবস্থার মধ্যে রয়েছে তা থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে- (মিরকাত)।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন