পরিচ্ছদঃ ২.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২৩২৬
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২৩২৬
وَعَنْ أَبِىْ ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ فِيمَا يَرْوِىْ عَنِ اللّٰهِ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى أَنَّه قَالَ: «يَا عِبَادِىْ إِنِّىْ حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلٰى نَفْسِىْ وَجَعَلْتُه بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلَا تَظَالَمُوا يَا عِبَادِىْ كُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلَّا مَنْ هَدَيْتُه فَاسْتَهْدُونِىْ أَهْدِكُمْ يَا عِبَادِىْ كُلُّكُمْ جَائِعٌ إِلَّا مَنْ أَطْعَمْتُه فَاسْتَطْعِمُونِىْ أُطْعِمْكُمْ يَا عِبَادِىْ كُلُّكُمْ عَارٍ إِلَّا مَنْ كَسَوْتُه فَاسْتَكْسُونِىْ أَكْسُكُمْ يَا عِبَادِىْ إِنَّكُمْ تُخْطِئُونَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا أَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا فَاسْتَغْفِرُونِىْ أَغْفِرْ لَكُمْ يَا عِبَادِىْ إِنَّكُمْ لَنْ تَبْلُغُوا ضَرِّىْ فَتَضُرُّونِىْ وَلَنْ تَبْلُغُوْا نَفْعِىْ فَتَنْفَعُونِىْ يَا عِبَادِىْ لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَاٰخِرَكُمْ وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ كَانُوْا أَتْقٰى قَلْبِ رَجُلٍ وَاحِدٍ مِنْكُمْ مَا زَادَ ذٰلِكَ فِىْ مُلْكِىْ شَيْئًا يَا عِبَادِىْ لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَاٰخِرَكُمْ وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ كَانُوْا عَلٰى اَفْجَرِ قَلْبِ وَاحِدٍ مِنْكُمْ مَا نَقَصَ مِنْ مُلْكِىْ شَيْئًا يَا عِبَادِىْ لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَاٰخِرَكُمْ وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ قَامُوا فِىْ صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَسَأَلُونِىْ فَأَعْطَيْتُ كُلَّ إِنْسَانٍ مَسْأَلَتَه مَا نَقَصَ ذٰلِكَ مِمَّا عِنْدِىْ إِلَّا كَمَا يَنْقُصُ الْمِخْيَطُ إِذَا أُدْخِلَ الْبَحْرَ يَا عِبَادِىْ إِنَّمَا هِىَ أَعْمَالُكُمْ أُحْصِهَا عَلَيْكُمْ ثُمَّ أُوَفِّيكُمْ إِيَّاهَا فَمَنْ وَجَدَ خَيْرًا فَلْيَحْمَدِ اللّٰهَ وَمِنْ وَجَدَ غَيْرَ ذٰلِكَ فَلَا يَلُوْمَنَّ إِلَّا نَفْسَه». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার নাম করে যেসব হাদীস বর্ণনা করেছেন তার একটি হলো তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন যে, আল্লাহ তাবারক ওয়াতা‘আলা বলেনঃ হে আমার বান্দাগণ! আমি আমার ওপর যুলম করাকে হারাম করে দিয়েছি। (যুলম করা আমার জন্য যা, তোমাদের জন্যও তা) তাই আমি তোমাদের জন্যও যুলম করা হারাম করে দিয়েছি। অতঃপর (পরস্পরের প্রতি) যুলম করো না। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট। কিন্তু আমি যাকে পথ দেখাই (সে-ই পথের সন্ধান পায়)। সুতরাং তোমরা আমার নিকট পথের সন্ধান কামনা কর, তাহলে আমি তোমাদেরকে পথের সন্ধান দেবো। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের প্রত্যেকেই ক্ষুধার্ত। কিন্তু আমি যাকে খাবার দেই (সে খাবার পায়)। তাই তোমরা আমার কাছে খাবার চাও। আমি তোমাদেরকে খাবার দেবো। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের প্রত্যেকেই উলঙ্গ। কিন্তু আমি যাকে পোশাক পরাই (সে পোশাক পরে)। তাই তোমরা আমার নিকট পোশাক চাও। আমি তোমাদেরকে (পোশাক) পরাব। হে আমার বান্দাগণ! তোমরা রাতদিন গুনাহ (অপরাধ) করে থাকো। আর আমি তোমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দেই। সুতরাং তোমরা আমার নিকট ক্ষমা চাও, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবো।হে আমার বান্দাগণ! তোমরা ক্ষতিসাধন করার সাধ্য রাখো না যে, আমার ক্ষতি করবে। এভাবে তোমরা আমার কোন উপকার করারও শক্তি রাখো না যে, আমার কোন উপকার করবে। তাই হে আমার বান্দাগণ! যদি তোমাদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিন্ তোমাদের মধ্যে হতে সর্বাপেক্ষা পরহেযগার ব্যক্তির অন্তরের মতো অন্তর নিয়ে পরহেযগার হয়ে যায়। তাও আমার সাম্রাজ্যের কিছুমাত্র বৃদ্ধি করতে পারবে না। হে আমার বান্দাগণ! যদি তোমাদের প্রথম ও শেষ পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিন্ তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা অত্যাচারী-অনাচারী ব্যক্তির অন্তরের মতো অন্তর নিয়েও অত্যাচার-অনাচার করে তাদের এ কাজও আমার সাম্রাজ্যের কিছুমাত্র ক্ষতি বৃদ্ধি করতে পারবে না। হে আমার বান্দাগণ! যদি তোমাদের প্রথম ও শেষ পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিন্ একই মাঠে দাঁড়িয়ে একসাথে আমার কাছে প্রার্থনা করে। আর আমি তোমাদের প্রত্যেককে তাদের চাওয়া জিনিস দান করি তাহলে আমার কাছে যা আছে, তার কিছুই কমাতে পারবে না। শুধু এতখানি ছাড়া যতটি একটি সূঁই যখন সমুদ্রে ডুবিয়ে আবার উঠিয়ে নেয়া হলে যতটুকু সমুদ্রের পানি কমায়। হে আমার বান্দাগণ! এখন বাকী রইল তোমাদের (কৃতকর্মের) ‘আমাল, যা আমি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করব। অতঃপর এর প্রতিদান আমি পরিপূর্ণভাবে দেবো। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন ভাল (ফল) লাভ করে, সে যেন আল্লাহর শুকর আদায় করে। আর যে মন্দ (ফল) লাভ করে, সে যেন নিজেকে ছাড়া অন্যকে দোষারোপ না করে (কেননা তা তারই কৃতকর্মের ফল)। (মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : মুসলিম ২৫৭৭, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৫৫৭, সহীহ আত্ তারগীব ১৬২৫, সহীহ আল জামি‘ ৪৩৪৫।