পরিচ্ছদঃ ১.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২৩১১
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২৩১১
وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِىْ وَقَّاصٍ أَنَّه دَخَلَ مَعَ النَّبِىِّ ﷺ عَلَى امْرَأَةٍ وَبَيْنَ يَدَيْهَا نَوًى أَوْ حَصًى تُسَبِّحُ بِه فَقَالَ: «أَلَا أُخْبِرُكِ بِمَا هُوَ أَيْسَرُ عَلَيْكِ مِنْ هٰذَا أَوْ أَفْضَلُ؟ سُبْحَانَ اللّٰهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِى السَّمَاءِ وَسُبْحَانَ اللّٰهِ عَدَدَ مَا خَلَقَ فِى الْأَرْضِ وَسُبْحَانَ اللّٰهِ عَدَدَ مَا بَيْنَ ذٰلِكَ وَسُبْحَانَ اللّٰهِ عَدَدَ مَا هُوَ خَالِقٌ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ مِثْلَ ذٰلِكَ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ مِثْلَ ذٰلِكَ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ مِثْلَ ذٰلِكَ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ مِثْلَ ذٰلِكَ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِىُّ: هٰذَا حَدِيْثٌ غَرِيْبٌ
সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে জনৈকা মহিলার কাছে গেলেন। তখন মহিলার সামনে কিছু খেজুরের বিচি; অথবা তিনি বলেছেন, কিছু কাঁকর ছিল, যা দিয়ে মহিলা গুণে গুণে তাসবীহ পড়ছিল। এটা দেখে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, আমি কি এর চেয়ে তোমার পক্ষে সহজ তাসবীহ; অথবা বলেছেন, উত্তম তাসবীহ তোমাকে বলে দিব না? আর তা হচ্ছে,‘‘সুবহা-নাল্ল-হি ‘আদাদা মা- খলাকা ফিস্ সামা-য়ি, ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ‘আদাদা মা- খলাকা ফিল আরযি, ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ‘আদাদা মা- বায়না যা-লিকা ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি ‘আদাদা মা-হুওয়া খ-লিকুন ওয়াল্ল-হু আকবার মিসলা যা-লিকা ওয়াল হামদুলিল্লা-হি মিসলা যা-লিকা ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু মিসলা যা-লিকা ওয়ালা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি মিসলা যা-লিকা’’(অর্থাৎ- আল্লাহর জন্য পাক-পবিত্রতা, যে পরিমাণ তিনি আসমানে সৃষ্টিজগত করেছেন। আল্লাহর জন্য পাক-পবিত্রতা তাঁর ওই সৃষ্টিজগতের অনুরূপ যা আসমান ও জমিনের মধ্যে আছে। আর আল্লাহর জন্য সব পাক-পবিত্রতা যে পরিমাণ তিনি ভবিষ্যতে সৃষ্টি করবেন। আর অনুরূপভাবে ‘‘আল্ল-হু আকবার’’ ও ‘‘আলহামদুলিল্লা-হি’’ ‘‘লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ’’ এবং ‘‘লা- হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি’’ও পড়বে। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ; তিরমিযী হাদীসটিকে গরীব বলেছেন)[১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ১৫০০, তিরমিযী ৩৫৬৫, শারহুস্ সুন্নাহ ১২৭৯, ইবনু হিববান ৮৩৭, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৩, য‘ঈফ আল জামি‘ ২১৫৫, মুসতাদারাক লিল হাকিম ২০০৯, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩২৩, শু‘আবূল ঈমান ৫৯৫, য‘ঈফাহ্ ৮৩, য‘ঈফ আত্ তারগীব ৯৫৯। কারণ খুযায়মাহ্ একজন মাজহূল রাবী।