পরিচ্ছদঃ

প্রথম অনুচ্ছেদ

মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২১২৩

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: وَكَّلَنِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِىْ اٰتٍ فَجَعَلَ يَحْثُو من الطَّعَامِ فَأَخَذْتُه وَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلٰى رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ إِنِّىْ مُحْتَاجٌ وَعَلَىَّ عِيَالٌ وَلِىْ حَاجَةٌ شَدِيدَةٌ قَالَ فَخَلَّيْتُ عَنْهُ فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ: «يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيْرُكَ الْبَارِحَةَ». قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالًا فَرَحِمْتُه فَخَلَّيْتُ سَبِيلَه قَالَ: «أَمَا إِنَّه قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ». فَعَرَفْتُ أَنَّه سَيَعُودُ لِقَوْلِ رَسُوْلِ اللّٰهِ ﷺ: «أَنَّه سَيَعُوْدُ». فَرَصَدْتُه فَجَاءَ يَحْثُو مِنَ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُه فَقُلْتُ: لَأَرْفَعَنَّكَ إِلٰى رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ قَالَ دَعْنِىْ فَإِنِّىْ مُحْتَاجٌ وَعَلَىَّ عِيَالٌ لَا أَعُودُ فَرَحِمْتُه فَخَلَّيْتُ سَبِيلَه فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «يَا أَبَا هُرَيْرَةَ مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ؟» قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ شَكَا حَاجَةً شَدِيدَةً وَعِيَالًا فَرَحِمْتُه فَخَلَّيْتُ سَبِيلَه قَالَ: «أَمَا إِنَّه قَدْ كَذَبَكَ وَسَيَعُودُ». فَرَصَدْتُّه فَجَاءَ يَحْثُوْ مِنَ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُه فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلٰى رَسُولُ اللهِ وَهٰذَا اٰخِرُ ثَلَاثِ مَرَّاتٍ إِنَّكَ تَزْعُمُ لَا تَعُودُ ثُمَّ تَعُودُ قَالَ دَعْنِىْ أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ يَنْفَعُكَ اللهُ بِهَا : إِذَا أَوَيْتَ إِلٰى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ اٰيَةَ الْكُرْسِىِّ ﴿اَللهُ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ﴾. حَتّٰى تَخْتِمَ الْاٰيَةَ فَإِنَّكَ لَنْ يَزَالَ عَلَيْكَ مِنَ اللهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرُبُكَ شَيْطَانٌ حَتّٰى تُصْبِحَ فَخَلَّيْتُ سَبِيلَه فَأَصْبَحْتُ فَقَالَ لِىْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَا فَعَلَ أَسِيرُكَ؟» قُلْتُ: زَعَمَ أَنَّه يُعَلِّمُنِىْ كَلِمَاتٍ يَنْفَعنِىَ اللهُ بهَا. قَالَ اَمَا : «أمَا إِنَّه صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوْبٌ تَعْلَمُ مَنْ تُخَاطِبُ مُنْذُ ثَلَاث لَيَالٍ؟». قلت : لَا، قَالَ : «ذَاك شَيْطَانٌ». رَوَاهُ البُخَارِىُّ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ফিতরার মাল পাহারায় নিযুক্ত করলেন। এমন সময় আমার নিকট এক ব্যক্তি এসেই অঞ্জলি ভরে খাদ্যশস্য উঠাতে লাগল। আমি তাকে ধরে ফেললাম ও বললাম, আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে যাব। সে বলল, আমি একজন অভাবী লোক। আমার অনেক পোষ্য। আমি নিদারুণ কষ্টে আছি। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি তখন তাকে ছেড়ে দিলাম। ভোরে আমি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে) গেলাম। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আবূ হুরায়রাহ্! তোমার হাতে গত রাতে বন্দী লোকটির কী অবস্থা? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! বন্দীটি তার নিদারুণ অভাব ও বহু পোষ্যের অভিযোগ করল। তাই আমি তার ওপর দয়া করলাম। তাকে ছেড়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, শুনো! সে তোমার কাছে মিথ্যা বলেছে। সে আবার আসবে।[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন] আমি রসূলের বলার কারণে বুঝলাম, অবশ্যই সে আবার আসবে। আমি তার অপেক্ষায় রইলাম। (ঠিকই) সে আবার এলো। দু’ হাতের কোষ ভরে খাদ্যশস্য উঠাতে লাগল এবং আমি তাকে ধরে ফেললাম। বললাম, আমি তোমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে যাবো। সে বলল, তুমি আমাকে এবারও ছেড়ে দাও। আমি বড্ড অভাবী মানুষ। আমার পোষ্যও অনেক। আমি আর আসব না। এবারও আমি তার ওপর দয়া করলাম। ছেড়ে দিলাম। ভোরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, আবূ হুরায়রাহ্! তোমরা বন্দীর খবর কী? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! সে খুবই অভাবী। বহু পোষ্যের অভিযোগ করল। তাই আমি তার প্রতি দয়াপ্রদর্শন করলাম। তাকে ছেড়ে দিলাম। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেন, শুনো তোমার কাছে সে মিথ্যা বলেছে। আবারও যে আসবে।(বর্ণনাকারী আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন,) আমি বুঝলাম, সে আবারও আসবে। তাই আমি তার অপেক্ষায় থেকে তাকে ধরে ফেললাম। বললাম, তোমাকে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে যাব। এটা তিনবারের শেষবার। তুমি ওয়া‘দা করেছিলে আর আসবে না। এরপরও তুমি এসেছ। সে বলল, এবারও যদি আমাকে ছেড়ে দাও। আমি তোমাকে এমন কয়টি বাক্য শিখাব, যে বাক্যের দ্বারা আল্লাহ তোমার উপকার করবেন। তুমি শোবার জন্য বিছানায় গেলে আয়াতুল কুরসী পড়বে, ‘‘আল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যূম’’ আয়াতের শেষ পর্যন্ত। তাহলে আল্লাহর তরফ থেকে সব সময় তোমার জন্য একজন রক্ষী থাকবে, ভোর হওয়া পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান ঘেঁষতে পারবে না। এবারও তাকে আমি ছেড়ে দিলাম।ভোরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তোমার বন্দীর কী হলো? আমি বললাম (ইয়া রসূলাল্লাহ!), সে বলল, সে আমাকে এমন কয়টি বাক্য শিখাবে, যার দ্বারা আল্লাহ আমার উপকার করবেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শুনো! এবার সে তোমার কাছে সত্য কথা বলেছে অথচ সে খুবই মিথ্যুক। তুমি কি জানো, তুমি এ তিন রাত কার সাথে কথা বলেছ? আমি বললাম, জি-না। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এ ছিল একটা শয়তান। (বুখারী)[১]

[১] সহীহ : বুখারী ২৩১১, তিরমিযী ২৮৮০, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৪২৪, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৪০৬, সহীহ আত্ তারগীব ৬১০।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন