পরিচ্ছদঃ ৮.

তৃতীয় অনুচ্ছেদ

মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২০৯৬

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «إِذَا كَانَ لَيْلَةُ الْقَدْرِ نَزَلَ جِبْرِيْلُ ؑ فِىْ كُبْكُبَةٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ يُصَلُّونَ عَلٰى كُلِّ عَبْدٍ قَائِمٍ أَوْ قَاعِدٍ يَذْكُرُ اللّٰهَ عَزَّ وَجَلَّ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ عِيدِهِمْ يَعْنِىْ يَوْمَ فِطْرِهِمْ بَاهٰى بِهِمْ مَلَائِكَتَه فَقَالَ: يَا مَلَائِكَتِىْ مَا جَزَاءُ أَجِيرٍ وَفّٰى عَمَلَه؟ قَالُوا: رَبَّنَا جَزَاؤُه أَنْ يُوَفّٰى أَجْرُه. قَالَ: مَلَائِكَتِىْ عَبِيدِىْ وَإِمَائِي قَضَوْا فَرِيضَتِىْ عَلَيْهِمْ ثُمَّ خَرَجُوا يَعُجُّونَ إِلَى الدُّعَاءِ وَعِزَّتِىْ وَجَلَالِىْ وَكَرَمِىْ وَعُلُوِّىْ وَارْتِفَاعِ مَكَانِىْ لَأُجِيْبَنَّهُمْ. فَيَقُوْلُ: ارْجِعُوْا فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ وَبَدَّلْتُ سَيِّئَاتِكُمْ حَسَنَاتٍ. قَالَ: فَيَرْجِعُونَ مَغْفُورًا لَهُمْ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيمَانِ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘লায়লাতুল কদর’ শুরু হলে জিবরীল আমীন মালায়িকাহ্’র (ফেরেশতাগণের) দলবলসহ (পৃথিবীতে) নেমে আসেন। তাঁরা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা আল্লাহর স্মরণকারী আল্লাহর প্রত্যেক বান্দার জন্য দু‘আ করতে থাকেন। এরপর ঈদুল ফিতরের দিন এলে আল্লাহ তা‘আলা মালায়িকার কাছে তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, হে আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)! বলো দেখি সে প্রেমিকের কী পুরস্কার হতে পারে যে নিজ কাজ সম্পাদন করেছে? মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) বলেন, হে আমাদের রব! তার পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে দিয়ে দেয়াই হচ্ছে তার পুরস্কার। তখন আল্লাহ বলেন, আমার মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)! আমার বান্দা ও বান্দীগণ তাদের ওপর আমার অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে। আজ (ঈদের দিন) আমার নিকট দু‘আর ধ্বনি দিতে দিতে ঈদগাহের দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমার ইজ্জতের, বড়ত্বের, উঁচু শানের কসম! জেনে রাখো তাদের দু‘আ আমি নিশ্চয়ই কবূল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, আমার (বান্দাগণ)! আমি নিশ্চয়ই তোমাদের সকল অপরাধ মাফ করে দিলাম। তোমাদের গুনাহখাতাগুলোকে নেক কাজে পরিবর্তন করে দিলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অতঃপর তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ী ফিরে যায়। (বায়হাক্বী- শু‘আবূল ঈমান)[১]

[১] মাওযূ‘ : শু‘আবূল ঈমান ৩৪৪৪। কারণ এর সানাদে আসরম ইবনু হাওশাব আল হামাদানী রয়েছেন, ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। বুখারী, মুসলিম ও নাসায়ী (রহঃ) মাতরূক বলেছেন। দারাকুত্বনী (রহঃ) তাকে মুনকার বলেছেন। ইবনু হিব্বান (রহঃ) বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য রাবীর বর্ণিত হাদীসের বিপরীতে হাদীস জাল করতেন।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন