পরিচ্ছদঃ ৬.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২০৬৭
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২০৬৭
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَدِمَ الْمَدِينَةِ فَوَجَدَ الْيَهُودَ صِيَامًا يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «مَا هٰذَا الْيَوْمُ الَّذِىْ تَصُومُونَه؟» فَقَالُوا: هٰذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ: أَنْجَى اللّٰهُ فِيهِ مُوسٰى وَقَوْمَه وَغَرَّقَ فِرْعَوْنَ وَقَوْمَه فَصَامَه مُوسٰى شُكْرًا فَنَحْنُ نَصُومُه فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: «فَنَحْنُ أَحَقُّ وَأَوْلٰى بِمُوسٰى مِنْكُمْ» فَصَامَه رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ وَأَمَرَ بِصِيَامِه. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ইবনু ‘আব্বাস হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাদীনায় গমন করার পর দেখলেন ইয়াহূদীরা ‘আশূরার দিন সওম রাখে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এ দিনটার বৈশিষ্ট্য কি যে, তোমরা সওম রাখো? তারা বলল, এটা একটি গুরুত্ববহ দিন। এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা মূসা (আঃ) ও তাঁর জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন। আর ফির্‘আওন ও তার জাতিকে (সমুদ্রে) ডুবিয়েছেন। মূসা (আঃ) শুকরিয়া হিসেবে এ দিন সওম রেখেছেন। অতএব তাঁর অনুসরণে আমরাও রাখি। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ দ্বীনের দিক দিয়ে আমরা মূসার বেশী নিকটে আর তার তরফ থেকে শুকরিয়া আদায়ের ব্যাপারে তোমাদের চেয়ে আমরা বেশী হকদার। বস্তুত ‘আশূরার দিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও সওম রেখেছেন অন্যদেরকেও রাখার হুকুম দিয়েছেন। (বুখারী, মুসলিম)[১]
[১] সহীহ : বুখারী ২০০৪, মুসলিম ১১৩০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৬৯৭, ইবনু মাজাহ ১৭৩৪, আহমাদ ৩১১২, সহীহ ইবনু হিববান ৩৬২৫।