পরিচ্ছদঃ ৪.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৮৩৭
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৮৩৭
عَنْ قَبِيْصَةِ بْنِ مُخَارِقٍ الْهِلَالِىْ قَالَ: تَحَمَّلْتُ حَمَالَةً فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللّهِ ﷺ أَسْأَلُه فِيهَا. فَقَالَ: «أَقِمْ حَتَّى تَأْتِيْنَا الصَّدَقَةُ فَنَأْمُرَ لَكَ بِهَا» . قَالَ ثُمَّ قَالَ: «يَا قَبِيصَةُ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لَا تَحِلُّ إِلَّا لِأَحَدِ ثَلَاثَةٍ رَجُلٍ تَحَمَّلَ حَمَالَةً فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتّى يُصِيبَهَا ثُمَّ يُمْسِكُ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ اجْتَاحَتْ مَالَه فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ وَرَجُلٍ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ حَتّى يَقُوْمَ ثَلَاثَةٌ مِنْ ذَوِي الْحِجى مِنْ قَوْمِه. لَقَدْ أَصَابَتْ فُلَانًا فَاقَةٌ فَحَلَّتْ لَهُ الْمَسْأَلَةُ حَتّى يُصِيبَ قِوَامًا مِنْ عَيْشٍ أَوْ قَالَ سِدَادًا مِنْ عَيْشٍ فَمَا سِوَاهُنَّ مِنَ الْمَسْأَلَة يَا قَبِيْصَةٌ سُحْتًا يَأْكُلُهَا صَاحِبُهَا سُحْتًا» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ক্ববীসাহ্ ইবনু মুখারিক্ব (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,আমি ঋণগ্রস্ত হয়ে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে এলাম। তার কাছে ঋণ আদায়ের জন্য কিছু চাইলাম। তিনি বললেন,অপেক্ষা করো। আমার কাছ যাকাতের মাল আসা পর্যন্ত আসলে তোমাকে কিছু দেবার জন্য বলে দেব। তারপর তিনি বললেন,ক্বাবীসাহ্! শুধু তিন ধরণের ব্যক্তির জন্য কিছু চাওয়া জায়িয। প্রথমতঃ যে ব্যক্তি অপরের ঋণের যামিনদার। তবে বেশী চাইতে পারবে না। বরং যতটুকুক ঋণ পরিশোধের জন্য প্রয়োজন শুধু ততটুকু চাইবে। এরপর আর চাইবে না। দ্বিতীয়তঃ ওই ব্যক্তি যে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে (দুর্ভিক্ষ প্লাবন ইত্যাদিতে)। তার সব ধন-সম্পদ ধ্বংস হয়েছে। তারও (শুধু খাবার ও পোশাকের জন্য) ততটুকু যাতে প্রয়োজন মিটে যায়। তার জীবনের জন্য অবলম্বন হয়ে যায়। তৃতীয়তঃ ওই ব্যক্তি (যে ধনী,কিন্তু তার এমন কোন কঠিন প্রয়োজন হয়ে পড়েছে যা মহল্লাবাসী জানে। যেমন ঘরের সব মালপত্র চুরি হয়ে গেছে অথবা অন্য কোন দুর্ঘটনার কারণে মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েছে)। (মহল্লার) তিনজন বুদ্ধিমান সচেতন লোক এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিবে যে, সত্যিই এ ব্যক্তি মুখাপেক্ষী। তার জন্যও সেই পরিমাণ (সাহায্য) চাওয়া জায়িয, যাতে তার প্রয়োজন মিটে। অথবা তিনি বলেছেন এর দ্বারা তার মুখাপেক্ষিতা ও প্রয়োজন দূর হয়, তার জীবনে একটি অবলম্বন আসে। হে ক্ববীসাহ্! এ তিন প্রকারের ‘চাওয়া’ ছাড়া হালাল নয়। আর হারাম পন্থায় প্রাপ্ত মাল খাওয়া তার জন্য হারাম।(মুসলিম) [১]
[১] সহীহ : মুসলিম ১০৪৪, আবূ দাঊদ ১৬৪০, নাসায়ী ২৫৮০, দারিমী ১৭২০, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৩৬১, ইবনু হিব্বান ৩৩৯৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৩১৯৪, ইরওয়া ৮৬৯, সহীহ আত্ তারগীব ৮১৭, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭৯৬৫।