পরিচ্ছদঃ ৫.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৮১
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৮১
وَعَنْ اَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَقُولُ لَا تُشَدِّدُوا عَلى أَنْفُسِكُمْ فَيُشَدِّدُ اللهُ عَلَيْكُمْ فَإِنَّ قَوْمًا شَدَّدُوا عَلى أَنْفُسِهِمْ فَشَدَّدَ اللّهُ عَلَيْهِمْ فَتِلْكَ بَقَايَاهُمْ فِي الصَّوَامِعِ وَالدِّيَارِ وَرَهْبَانِيَّةً ابْتَدَعُوهَا مَا كَتَبْنَاهَا عَلَيْهِمْ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতেন: তোমরা নিজেদের নাফ্সের (আত্মার) উপর ইচ্ছা করে কঠোরতা করো না। কেননা পরবর্তীতে আল্লাহ্ না আবার তোমাদের উপর কঠোরতা চাপিয়ে দেন। পূর্বেও একটি জাতি (বানী ইসরাঈল) নিজেদের উপর কঠোরতা অবলম্বন করেছিল। তাই আল্লাহ্ তা‘আলাও তাদের উপর কঠোর বিধান চাপিয়ে দিলেন। গির্জায় ও ধর্মশালায় যে লোকগুলো আছে, এরা তাদেই উত্তরাধিকারী। (কুরআনে উল্লেখ আছে) “তারা নিজেরাই নিজেদের জন্য ‘রাহ্বানিয়্যাত’ বা বৈরাগ্যবাদ-কে আবিষ্কার করেছিল। আমি তাদের উপর নির্ধারণ করিনি”- (সূরাহ আল হাদীদ ৫৭:২৭)। [১]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৪৯০৪, সিলসিলাহ্ আয্ য‘ঈফাহ্ ৩৪৬৮। কারণ এর সানাদে ‘‘সা‘ঈদ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু আবুল ‘আম্ইয়া’’ নামক একজন রাবী রয়েছেন যাকে ইবনু হিব্বান ব্যতীত কেউই বিশ্বস্ত বলেননি। আর হাফিয ইবনু হাজার তাকে হাদীসে শিথিল বলে আখ্যায়িত করেছেন।