পরিচ্ছদঃ ১.

প্রথম অনুচ্ছেদ

মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৭৯৬

وَعَن أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ: أَن أَبَا بَكْرٍ كَتَبَ لَه هذَا الْكِتَابَ لَمَّا وَجَّهَه إِلَى الْبَحْرِينِ: بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ هذِه فَرِيضَةُ الصَّدَقَةِ الَّتِىْ فَرَضَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ عَلَى الْمُسْلِمِينَ وَالَّتِىْ أَمَرَ اللّهُ عَزَّ وَجَلَّ بهَا رَسُوْلَه فَمَنْ سَأَلَهَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلى وَجْهِهَا فَلْيُعْطِهَا وَمَنْ سُئِلَ فَوْقَهَا فَلَا يُعْطِ: فِىْ أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ مِنَ الْإِبِل فَمَا دُوْنِهَا مِنَ الْغَنَمِ مِنْ كُلِّ خَمْسٍ شَاةٌ. فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا وَعِشْرِينَ إِلى خَمْسٍ وَثَلَاثِينَ فَفِيهَا بِنْتُ مَخَاضٍ أُنْثى فَإِذَا بَلَغَتْ سِتًا وَثَلَاثِينَ فَفِيْهَا بِنْتُ لَبُوْنٍ أُنْثى. فَإِذا بَلَغَتْ سِتَّةً وَأَرْبَعِيْنَ إِلى سِتِّينَ فَفِيهَا حِقَّةٌ طَرُوقَةُ الْجَمَلِ فَإِذَا بَلَغَتْ وَاحِدَةً وَسِتِّينَ فَفِيْهَا جَذَعَةٌ. فَإِذا بَلَغَتْ سِتًا وَسَبْعِيْنَ فَفِيهَا بِنْتَا لَبُونٍ. فَإِذَا بَلَغَتْ إِحْدى وَتِسْعِينَ إِلى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَفِيهَا حِقَّتَانِ طَرُوقَتَا الْجَمَلِ. فَإِذَا زَادَتْ عَلى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ فَفِىْ كُلِّ أَرْبَعِينَ بِنْتُ لَبُونٍ وَفِىْ كُلِّ خَمْسِينَ حِقَّةٌ. وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَه إِلَّا أَرْبَعٌ مِنَ الْإِبِلِ فَلَيْسَ فِيهَا صَدَقَةٌ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّهَا. فَإِذَا بَلَغَتْ خَمْسًا فَفِيهَا شَاةٌ وَمَنْ بَلَغَتْ عِنْدَه مِنَ الْإِبِلِ صَدَقَةَ الْجَذَعَةِ وَلَيْسَتْ عِنْدَه جَذَعَةٌ وَعِنْدَه حِقَّةٌ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْحِقَّةُ وَيُجْعَلُ مَعَهَا شَاتَيْنِ إِنِ اسْتَيْسَرَتَا لَه أَوْ عِشْرِينَ دِرْهَمًا. وَمَنْ بَلَغَتْ عِنْدَه صَدَقَةُ الْحِقَّةِ وَلَيْسَتْ عِنْدَهُ الْحِقَّةُ وَعِنْدَهُ الْجَذَعَةُ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْجَذَعَةُ وَيُعْطِيهِ الْمُصَدِّقُ عِشْرِيْنَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ. وَمَنْ بَلَغَتْ عِنْدَه صَدَقَةَ الْحِقَّةِ وَلَيْسَتْ إِلَّا عِنْدَه بِنْتُ لَبُوْنٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ بِنْتُ لَبُونٍ وَيُعْطِىْ مَعهَا شَاتَيْنِ أَوْ عِشْرِينَ دِرْهَمًا. وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُه بِنْتَ لَبُوْنٍ وَعِنْدَه حِقَّةٌ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ الْحِقَّةُ وَيُعْطِيهِ الْمُصَدِّقُ عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ. وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُه بَنْتَ لِبَوْنٍ وَلَيْسَتْ عِنْدَه وَعِنْدَه بِنْتُ مَخَاضٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ بِنْتُ مَخَاضٍ وَيُعْطى مَعَهَا عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ. وَمَنْ بَلَغَتْ صَدَقَتُه بَنْتَ مَخَاضٍ وَلَيْسَتْ عِنْدَه وَعِنْدَه بِنْتُ لَبُونٍ فَإِنَّهَا تُقْبَلُ مِنْهُ وَيُعْطِيهِ الْمُصَدِّقُ عِشْرِينَ دِرْهَمًا أَوْ شَاتَيْنِ. فَإِنْ لَمْ تَكُنْ عِنْدَه بِنْتُ مَخَاضٍ عَلى وَجْهِهَا وَعِنْدَهُ ابْن لَبُونٍ فَإِنَّهُ يُقْبَلُ مِنْهُ وَلَيْسَ مَعَه شَيْءٌ. وَفِىْ صَدَقَةِ الْغَنَمِ فِىْ سَائِمَتِهَا إِذَا كَانَتْ أَرْبَعِينَ فَفِيْهَا شَاةٌ إِلى عِشْرِيْنَ وَمِائَةِ شَاةٍ فَإِن زَادَتْ عَلى عِشْرِينَ وَمِائَةٍ إِلى مِائَتَيْنِ فَفِيهَا شَاتَان. فَإِن زَادَتْ عَلى مِائَتَيْنِ إِلى ثَلَاثِمِائَةٍ فَفِيْهَا ثَلَاثُ شِيَاهٍ. فَإِذَا زَادَتْ عَلى ثَلَاثِمِائَةٍ فَفِىْ كُلِّ مِائَةٍ شَاةٌ. فَإِذَا كَانَتْ سَائِمَةُ الرَّجُلِ نَاقِصَةً مِنْ أَرْبَعِينَ شَاةً وَاحِدَةً فَلَيْسَ فِيهَا صَدَقَةٌ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّهَا. وَلَا تُخْرَجَ فِي الصَّدَقَة هَرِمَةٌ وَلَا ذَاتُ عَوَرٍ وَلَا تَيْسٌ إِلَّا مَا شَاءَ الْمُصَدِّقُ. وَلَا يُجْمَعُ بَيْنَ مُتَفَرِّقٍ وَلَا يُفَرَّقُ بَيْنَ مُجْتَمَعٍ خَشْيَةَ الصَّدَقَةِ وَمَا كَانَ مِنْ خَلِيطَيْنِ فَإِنَّهُمَا يَتَرَاجَعَانِ بَيْنَهُمَا بِالسَّوِيَّةِ. وَفِي الرِّقَةِ رُبُعُ الْعُشْرِ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ إِلَّا تِسْعِينَ وَمِائَةً فَلَيْسَ فِيهَا شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ رَبُّهَا. رَوَاهُ البُخَارِيُّ

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন,আবূ বাক্‌র সিদ্দীক্ব (রাঃ) যখন তাঁকে বাহরাইনের শাসনকর্তা নিয়োগ দিয়ে পাঠান তখন এ নির্দেশনামাটি লিখে দিয়েছিলেন,বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম। এ চিঠি ফরজ সদাক্বাহ অর্থাৎ যাকাত সম্পর্কে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটি মুসলিমদের ওপর ফার্‌য করেছেন এবং এটিকে জারী করার জন্য আল্লাহ তা’আলা তাঁর রসূলকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে মুসলিম কোন ব্যক্তির কাছে নিয়মানুযায়ী যাকাত চাওয়া হলে সে যেন তা আদায় করে। আর কোন ব্যক্তির নিকট নিয়ম ভেঙ্গে যাকাত চাওয়া হলে সে যেন (বেশী যাকাত) না দেয়। চব্বিশ ও চব্বিশের কম উটের যাকাত হবে বকরী। প্রতি পাঁচ উটে একটি বকরী দিতে হবে। (পাঁচটি উটের কম হলে যাকাত দিতে হবে না। পাঁচ থেকে নয় উটে এক বকরী। দশ থেকে চৌদ্দটি হলে দু’টি বকরী। পনের হতে ঊনিশে তিনটা বকরী। আর বিশ থেকে চব্বিশ পর্যন্ত চারটি বকরী। উটের সংখ্যা পঁচিশ থেকে পয়ত্রিশ পর্যন্ত এক বছরের মাদি উট (বিনতে মাখায) যাকাত দিতে হবে। উটের সংখ্যা ছত্রিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ হলে একটু দু’বছরের মাদী উট (বিনতে লাবুন) যাকাত দিতে হবে। ছেচল্লিশ থেকে ষাট পর্যন্ত উটে নরের সাথে মিলনের যোগ্য একটি তিন বছরের মাদী উট (হিক্কাহ) দিতে হবে। উটের সংখ্যা একষট্টি থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত পৌঁছালে চার পেরিয়ে পাঁচ বছরে পা দিয়েছে এমন একটি মাদী উট (জাযা’আহ) দিতে হবে। উটের সংখ্যা ছিয়াত্তর থেকে নব্বই পৌঁছে গেলে দু’টি দু’বছরের উটনী (বিনতু লাবুন) যাকাত লাগবে। একানব্বই হতে একশত বিশ পর্যন্ত উটে তিন বছর বয়সী নরের সাথে মিলনের যোগ্য দু’টি উট (হিক্কাতানে)। একশ’বিশ ছাড়ালে প্রতি চল্লিশ উটে দু’বছরের একটি মাদি উট (বিনতু লাবুন) ও পঞ্চাশটি করে বাড়লে পুরা তিন বছর বয়সী উট যাকাত দিতে হবে। যার নিকট শুধু চারটি উট আছে তার যাকাত লাগবে না। অবশ্য মালিক চাইলে,নাফল সদাকাহ কিছু দিতে পারে। উটের সংখ্যা পাঁচ হলে একটি বকরী যাকাত দিতে হবে। আর চার বছরের মাদী উট নিসাবে পৌঁছে গেলে (৬১-৭৫) এবং তা তাঁর নিকট না থাকলে,তিন বছর বয়সী উট (অর্থাৎ একষট্টি থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত উটের সংখ্যার যাকাত) দিতে হবে। এর সাথে বাড়তি দু’টি বকরী দিবে যদি সহজসাধ্য হয়। অথবা বিশ দিরহাম দিয়ে দিবে। চার বছর পার হয়ে ও পাঁচ বছরে পদার্পণ করা উটের যাকাত দিতে হবে। কিন্তু তাঁর তিন বছর বয়সী মাদী উট থাকলে সেটাই যাকাত হিসেবে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু যাকাত গ্রহণকারী প্রদানকারীকে বিশ দিরহাম অথবা দু’টি বকরী ফেরত দিবে। কোন ব্যক্তির নিকট দু’বছরের উট থাকলে তার যাকাত দিতে হবে। যদি তার কাছে না থেকে এক বছরের উট থাকে। তবে থেকে এক বছরের উটই যাকাত হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যাকাত আদায়কারী এর সাথে আরো বিশ দিরহাম অথবা দু’টি বকরী আদায় করবে। যে ব্যক্তির যাকাত হিসেবে একটি এক বছরের উট ওয়াজিব আছে কিন্তু তার কাছে তা’ নেই। বরং দু’বছরের উট (ইবনু লাবুন) থাকে,তার থেকে তাই গ্রহণ করতে হবে। তবে এ অবস্থায় অন্যকিছু ওয়াজিব হবে না।আর পালিত বকরীর ক্ষেত্রে বকরীর সংখ্যা চল্লিশ হতে শুরু করে একশত বিশ পর্যন্ত হলে একটি বকরী যাকাত দিতে হবে। একশ’ বিশ হতে দু’শ পর্যন্ত দু’টি বকরী। আর দু’শ হতে তিন’শ বকরীর জন্য তিনটি বকরী। তিনশ’র বেশী হলে,প্রত্যেক একশ’টি বকরীর জন্য একটি বকরী যাকাত দিতে হবে। যার নিকট পালিত বকরী চল্লিশ থেকে একটিও কম হবে তার উপর যাকাত ওয়াজিব নয়। তবে মালিক ইচ্ছা করলে নাফল সদাকাহ হিসেবে কিছু দিতে পারে। যাকাতের মাল যেন (উট,গরু,ছাগল) অতিবৃদ্ধ,ত্রুটিযুক্তি না হয়। যাকাত উসূলকারী গ্রহণ করতে চাইলে জায়িয। বিভিন্ন পশুকে এক জায়গায় একত্র না করা উচিত। যাকাত দেবার ভয়ে পশুকে পৃথক পৃথক রাখাও ঠিক না। যদি যাকাতের নিসাবে দু’ব্যক্তি যৌথভাবে শরীক হয়,তাহলে সমানভাবে ভাগ করে নেয়া উচিত। আর রূপার ক্ষেত্রে চল্লিশ ভাগের একভাগ যাকাত ওয়াজিব। কোন ব্যক্তি একশত নব্বই দিরহামের মালিক হলে (যা নিসাব হিসেবে গণ্য নয়) তার উপর কিছু ফারয হবে না। তবে নফল সদাকাহ হিসেবে কিছু দিতে পারে। (বুখারী) [১]

[১] সহীহ : বুখারী ১৪৪৮, ১৪৫০, ১৪৫১, ১৪৫৩, ১৪৫৪, ১৪৫৫, দারাকুত্বনী ১৯৮৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৩৮৮।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন