পরিচ্ছদঃ
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৭৭৯
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৭৭৯
عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ: اسْتَعْمَلَ النَّبِيُّ ﷺ رَجُلًا مِنَ الْأَزْدِ يُقَالُ لَهُ ابْنُ الْلُتْبِيَّةِ الْأُتْبِيَّةِ عَلَى الصَّدَقَةِ فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: هذَا لَكُمْ وَهذَا أُهْدِيَ لِىْ فَخَطَبَ النَّبِيُّ ﷺ فَحَمِدَ اللّهَ وَأُثْنى عَلَيْهِ وَقَالَ: «أَمَّا بَعْدُ فَإِنِّىْ أَسْتَعْمِلُ رِجَالًا مِنْكُمْ عَلى أُمُوْرٍ مِمَّا وَلَانِي اللهُ فَيَأْتِىْ أَحَدُكُم فَيَقُوْلُ: هذَا لَكُمْ وَهذَا هَدِيَّةٌ أُهْدِيَتْ لِىْ فَهَلَّا جَلَسَ فِىْ بَيْتِ أَبِيْهِ أَوْ بَيْتِ أُمِّه فَيَنْظُرُ أَيُهْدى لَه أَمْ لَا؟ وَالَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِه لَا يَأْخُذُ أَحَدٌ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا جَاءَ بِه يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُه عَلى رَقَبَتِه إِنْ كَانَ بَعِيْرًا لَه رُغَاءٌ أَوْ بَقْرًا لَه خُوَارٌ أَوْ شَاةً تَيْعَرُ» ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتّى رَأَيْنَا عُفْرَةَ إِبِطَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «اللّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللّهُمَّ هَل بَلَّغْتُ» . قَالَ الْخَطَّابِيُّ: وَفِىْ قَوْلِه: «هَلَّا جَلَسَ فِي بَيْتِ أُمِّه أَوْ أَبِيهِ فَيَنْظُرُ أَيُهْدى إِلَيْهِ أَمْ لَا؟» دَلِيْلٌ عَلى أَنَّ كُلَّ أَمْرٍ يُتَذَرَّعُ بِه إِلى مَحْظُورٍ فَهُوَ مَحْظُورٌ وَكُلٌّ دَخَلَ فِي الْعُقُودِ يُنْظَرُ هَلْ يَكُونُ حُكْمُه عِنْدَ الِانْفِرَادِ كَحُكْمِه عِنْدَ الِاقْتِرَانِ أَمْ لَا؟ هَكَذَا فِىْ شَرْحِ السُّنَّةِ. (مُتَّفق عَلَيْهِ)
আবূ হুমায়দ আস্ সা‘ইদী (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন,একবার নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আয্দ গোত্রের ইবনুল লুত্বিয়াহ্ নামক ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করার জন্য কর্মকর্তা নিযুক্ত করলেন। সে (যাকাত উসূল করে) মাদীনায় ফিরে এসে (মুসলিমদের নিকট) বলতে লাগল,এ পরিমাণ সম্পদ তোমাদের (যাকাত হিসেবে উসূল হয়েছে,তোমরা এর হাক্বদার)। আর এ পরিমাণ সম্পদ তুহফা হিসেবে আমাকে দেয়া হয়েছে (এটা আমার হাক্ব)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এসব কথা শুনে) লোকদের উদ্দেশে হাম্দ ও সানা পড়ে খুতবাহ্ দিলেন। তিনি (খুতবায়) বললেন,তোমাদের কিছু লোককে আমি ওসব কাজের জন্য নিয়োগ দিয়েছি যেসব কাজের জন্য আল্লাহ আমাকে হাকিম বানিয়েছেন। এখন তোমাদের এক ব্যক্তি এসে বলছে,এটা (যাকাত) তোমাদের জন্য,আর এটা হাদিয়্যাহ্। এ হাদিয়্যাহ্ আমাকে দেয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করো,সে ব্যক্তি তার পিতা অথবা মাতার বাড়িতে বসে রইল না কেন? তখন সে দেখত (তুহফা দানকারীরা) তাকে তার বাড়ীতেই তুহফা পৌঁছে দিয়ে যেত কিনা? ঐ মহান সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন। তোমাদের যে ব্যক্তি যে কোন জিনিস তদ্রুপ করবে তা ক্বিয়ামাতের দিন তার গর্দানের উপর বহন করে নিয়ে আসবে। যদি তা উট হয় তাহলে তার আওয়াজ উটের আওয়াজ হবে। যদি তা গরু হয় তাহলে তার আওয়াজ গরুর আওয়াজ হবে। যদি তা বকরী হয় তাহলে বকরীর আওয়াজ হবে। (অর্থাৎ দুনিয়ার কোন জিনিস অন্যায়ভাবে গ্রহণ করলে,তা ক্বিয়ামাতের দিন তার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে কথা বলতে থাকবে)। এরপর রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দু’হাত এত উপরে উঠালেন যে,আমরা তার বগলের নিচের শুভ্রতা দেখতে পেলাম। এরপর তিনি বললেন,হে আল্লাহ! আমি মানুষের কাছে কি তা পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি (তোমার কথা) কি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি? (বুখারী,মুসলিম) [১]রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাণী,“তাকে জিজ্ঞেস করো,সে ব্যক্তি তার পিতা-মাতার বাড়িতে বসে থাকল না কেন? তখন সে দেখত তুহফা তার বাড়ীতে পৌঁছে দিয়ে যায় কিনা?” এ সম্পর্কে খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন,এ বাণী এ কথারই দলীল যে,কোন হারাম কাজের জন্য যে জিনিসকে উপায় বা ওয়াসিলা বানানো হয় সে উপায়ে বা ওয়াসিলাও হারাম। আরো বলা যায়,কোন একটি ব্যাপারকে অন্য একটি ব্যাপারের সাথে (যেমন-বেচাকেনা,বিয়ে-শাদী ইত্যাদি) সম্পর্কিত করলে দেখতে হবে,সে ব্যাপারগুলোর কোন পৃথক পৃথক হুকুম এদের এক সাথে সম্পর্কিত হুকুমের সদৃশ কি-না। হলে তা জায়িয। আর না হলে না জায়িয। (শারহুস্ সুন্নাহ্)
[১] সহীহ : বুখারী ৭১৭৪, মুসলিম ১৮৩২, আবূ দাঊদ ২৯৪৬, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্ ২১৯৬২, আহমাদ ২৩৫৯৮, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৩৩৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৬৬৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৫৬৮।