পরিচ্ছদঃ ২.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৬১৪
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৬১৪
وَعَنْ أَبِىْ أُمَامَةَ قَالَ: جَلَسْنَا إِلى رَسُولِ اللّهِ ﷺ فَذَكَّرَنَا وَرَقَّقَنَا فَبَكى سَعْدُ بْنُ أَبِىْ وَقَّاصٍ فَأَكْثَرَ الْبُكَاءَ فَقَالَ: يَا لَيْتَنِىْ مِتُّ. فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ: «يَا سَعْدُ أَعِنْدِىْ تَتَمَنَّى الْمَوْتَ؟» فَرَدَّدَ ذلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ: «يَا سَعْدُ إِنْ كُنْتَ خُلِقْتَ لِلْجَنَّةِ فَمَا طَالَ عُمْرُكَ وَحَسُنَ مِنْ عَمَلِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ
আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে মুখ ফিরিয়ে বসলাম। তিনি আমাদের অনেক নসীহাত করলেন। আখিরাতের ভয় দেখিয়ে আমাদের মনকে বিগলিত করে ফেললেন। এ অবস্থায় সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস কাঁদতে লাগলেন এবং বেশ কতক্ষন কাঁদলেন। তারপর বললেন, হায়! আমি যদি (শিশুকালেই) মারা যেতাম (তাহলে তো গুনাহ করতাম না আখিরাতের ‘আযাব হতেও মুক্ত থাকতাম)। এ কথা শুনে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ হে সা’দ! তুমি আমার সামনে মৃত্যু কামনা করলে? এ বাক্যটি তিনি তিনবার বললেন। তারপর তিনি বললেন, সা’দ! তোমাকে যদি জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করা হয়ে থাকে, তাহলে তোমার বয়স যত দীর্ঘ হবে এবং যত ভাল ‘আমাল তুমি করবে ততই তোমার জন্য উত্তম হবে। [১]
[১] য‘ঈফ : আহমাদ ২২২৯৩, ত্ববারানী ৭৮৭০। কারণ এর সানাদে ‘আলী বিন ইয়াযীদ একজন দুর্বল রাবী।