পরিচ্ছদঃ ১.
প্রথম অনুচ্ছেদ
অধিকাংশ লেখকবৃন্দ এর মধ্যে মুহাদ্দিসগণ ও ফুকাহারা জানাযাহ্ পর্বকে সলাতের পরে এনেছেন। কেননা মৃত ব্যক্তির সাথে গোসল, কাফন ইত্যাদি ক্রম করা হয় বিশেষ করে তার ওপর সলাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করা হয় যেখানে তার জন্য ক্ববরের ‘আযাব হতে মুক্তি পাওয়ার উপকারিতা বিদ্যমান থাকে। কারো মতে মানুষের দু’ অবস্থা একটি জীবিত অপরটি মৃত অবস্থা আর প্রত্যেকটির সাথে সম্পর্ক থাকে ‘ইবাদাত ও মু‘আমিলাতের হুকুম-আহকাম। আর গুরুত্বপূর্ণ ‘ইবাদাত হচ্ছে সলাত। সুতরাং যখন জীবিতকালীন সম্পর্কিত হুকুম-আহকাম হতে মুক্ত হল তখন মৃত্যুকালীন সম্পর্কিত বিষয়াদি আলোচনা করা হল তন্মধ্যে সলাত ও অন্যান্য বিষয়।কারো মতে, জানাযার সলাত শুরু হয়েছে হিজরীর প্রথম বৎসরে, সুতরাং যারা মাক্কায় মারা গেছে তাদের ওপর সলাত আদায় হয়নি।
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৫২৯
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৫২৯
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ دَخَلَ عَلَى اعْرَابِيٍّ يَعُودُه وَكَانَ إِذَا دَخَلَ عَلى مَرِيضٍ يَعُودُه قَالَ: «لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَآءَ اللّهُ» فَقَالَ لَه: «لَا بَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَآءَ اللّهُ» . قَالَ: كَلَّا بَلْ حُمّى تَفُوْرُ عَلى شَيْخٍ كَبِيْرٍ تَزِيْرُهُ الْقُبُوْرُ. فَقَالَ: «فَنَعَمْ إِذَنْ» . رَوَاهُ البُخَارِيُّ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একবার একজন অসুস্থ বেদুইনকে দেখতে গেলেন। আর কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তিনি বলতেন, ‘ভয় নেই, আল্লাহ চান তো তুমি খুব শীঘ্রই ভালো হয়ে যাবে। এ রোগ তোমার পবিত্র হবার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’ এ নিয়ম অনুযায়ী তিনি বেদুঈনকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, ‘ভয় নেই, তুমি ভালো হয়ে যাবে। আল্লাহর ইচ্ছায় এটা তোমার পবিত্র হবার কারণ হয়ে যাবে।’ তাঁর কথা শুনে বেদুঈন বলল, কক্ষনো নয়। বরং এটা এমন এক জ্বর, যা একজন বৃদ্ধ লোকের শরীরে ফুঁটছে। এটা তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে। তার কথা শুনে এবার নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, আচ্ছা, তুমি যদি তাই বুঝে থাক তবে তোমার জন্য তা-ই হবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ৩৬১৬, ৫৬৫৬, ৫৬৬২, ইবনু হিব্বান ২৯৫৯, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪১২, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪৭১৮।