পরিচ্ছদঃ ৪.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৩৭
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৩৭
وَعَنْ اَسْمَاءَ بِنْتِ اَبِىْ بَكْرٍ قَالَتْ قَامَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ خَطِيبًا فَذَكَرَ فِتْنَةَ الْقَبْرِ الَّتِي يَفْتَتِنُ فِيهَا الْمَرْءُ فَلَمَّا ذَكَرَ ذلِكَ ضَجَّ الْمُسْلِمُونَ ضَجَّةً - رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ هكذا وزاد النسائى حَالَتْ بَيْنِي وَبَيْنَ أَنْ أَفْهَمَ كَلَامَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَلَمَّا سَكَنَتْ ضَجَّتُهُمْ قُلْتُ لِرَجُلٍ قَرِيبٍ مِنِّي أَيْ بَارَكَ اللّهُ لَكَ مَاذَا قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ فِي اۤخِرِ قَوْلِه؟ قَالَ قَدْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ قَرِيبًا مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ
আসমা বিনতু আবূ বাকর (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের উদ্দেশ্যে নাসীহাত করার জন্য দাঁড়ালেন এবং ক্ববরের ফিত্নাহ সম্পর্কে বর্ণনা করলেন। মানুষ ক্ববরে যে ফিতনার সম্মুখীন হয় তা শুনে লোকজন ভয়ে চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করল। ইমাম বুখারী এ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। আর ইমাম নাসায়ীর বর্ণনায় আরো রয়েছে: (ক্ববরের ফিতনার কথা শুনে ভয়ে ভীত বিহ্বল হয়ে) মুসলিমরা চীৎকারের কারণে আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর (মুখ খেকে বের হওয়া) কথাগুলো বুঝতে পারিনি। চীৎকার বন্ধ হবার পর অবস্থা শাস্ত হলে আমি আমার নিকটে বসা এক লোককে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ্ তোমায় কল্যাণ দান করুন, শেষের দিকে রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কী বলেছেন? সে ব্যক্তি উত্তরে বলল, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আমার উপর এ ওয়াহী এসেছে যে, তোমাদেরকে ক্ববরে ফিতনায় ফেলা হবে। আর এ ফিতনাহ্ দাজ্জালের ফিতনার মতো হবে। [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১৩৭৩, নাসায়ী ২০৬২।