পরিচ্ছদঃ ৩১.
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১২০৯
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১২০৯
وَعَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمنِ بْنِ عَوْفٍ قَالَ: أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ: قُلْتُ وَأَنَا فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُولِ اللّهِ ﷺ: وَاللّهِ لَأَرْقُبَنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ لِلصَّلَاةِ حَتّى أَرَى فِعْلَه فَلَمَّا صَلّى صَلَاةَ الْعِشَاءِ وَهِيَ الْعَتَمَةُ اضْطَجَعَ هَوِيًّا مِنَ اللَّيْلِ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَنَظَرَ فِي الْأُفُقِ فَقَالَ: ﴿رَبَّنَا مَا خَلَقَتَ هذَا بَاطِلًا﴾ [آل عمران 3 : 191] حَتّى بَلَغَ إِلى ﴿إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ﴾ [آل عمران 3 : 194]، ثُمَّ أَهْوى رَسُولُ اللّهِ ﷺ إِلى فِرَاشِه فَاسْتَلَّ مِنْهُ سِوَاكًا ثُمَّ أَفْرَغَ فِي قَدَحٍ مِنْ إِدَاوَةٍ عِنْدَه مَاءً فَاسْتَنَّ ثُمَّ قَامَ فَصَلّى حَتّى قُلْتُ: قَدْ صَلّى قَدْرَ مَا نَامَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتّى قُلْتُ قَدْ نَامَ قَدْرَ مَا صَلّى ثُمَّ اسْتَيْقَظَ فَفَعَلَ كَمَا فَعَلَ أَوَّلَ مَرَّةٍ وَقَالَ مِثْلَ مَا قَالَ فَفَعَلَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ ثَلَاثً مَرَّاتٍ قَبْلَ الْفَجْرِ. رَوَاهُ النَّسَائِيُّ
হুমায়দ ইবনু ‘আবদুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর এক সহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন, একবার আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর সঙ্গে সফরে গিয়েছিলাম। (তখন আমি মনে মনে চিন্তা করলাম) আল্লাহর শপথ! রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাহাজ্জুদের সলাত আদায় করতে উঠলে তাঁকে আমি সলাতের সময় দেখতে থাকব। যাতে তিনি কিভাবে সলাত আদায় করেন তা আমি দেখতে পাই (পরে আমি সেভাবে ‘আমাল করব)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ‘ইশার সলাত, যাকে ‘আত্বামাহ্ বলা হয়, আদায় করার পর ঘুমিয়ে গেলেন (কিছু সময় আরাম করলেন)। তারপর তিনি সজাগ হলেন। তারপর আকাশের দিকে নজর করলেন ও এ আয়াত, “রব্বানা- মা- খালাকতা হা-যা- বা-ত্বিলান… ইন্নাকা লা- তুখলিফুল মি’আ-দ- (সূরাহ্ আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৯১-১৯৪) পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন। তারপর তিনি বিছানার দিকে গেলেন। মিসওয়াক বের করলেন। এরপর তাঁর নিকট রাখা পানির পাত্র হতে পানি বের করলেন। মিসওয়াক করলেন। উযূ করলেন। সলাতে দাঁড়িয়ে গেলেন। সলাত শেষ হওয়ার পর আমি মনে মনে বললাম, যত সময় তিনি ঘুমিয়েছেন তত সময় তিনি সলাত আদায় করেছেন। তারপর তিনি ঘুমিয়ে গেলেন। শেষে আমি মনে মনে বললান, যত সময় তিনি সলাত আদায় করেছেন তত সময় তিনি ঘুমিয়েছিলেন। এরপর তিনি সজাগ হলেন। আবার ওসব কাজ করলেন যা পূর্বে করেছিলেন এবং তাই বললেন যা পূর্বে বলেছিলেন (অর্থাৎ মিসওয়াক, উল্লিখিত আয়াত ইত্যাদি)। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফাজ্রের পূর্ব পর্যন্ত এভাবে তিনবার করলেন। (নাসায়ী) [১]
[১] সানাদ সহীহ : নাসায়ী ১৬২৬।