১০/২.
সূর্য গ্রহণের সলাতে ক্ববরের ‘আযাব হতে আশ্রয় প্রার্থনার দু‘আ।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ৫২২
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ৫২২
حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَرَأَ سُورَةً طَوِيلَةً، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ، ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ، ثُمَّ اسْتَفْتَحَ بِسُورَةٍ أُخْرَى ثُمَّ رَكَعَ حَتَّى قَضَاهَا وَسَجَدَ، ثُمَّ فَعَلَ ذلِكَ فِي الثَّانِيَةِ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى يُفْرَجَ عَنْكُمْ لَقَدْ رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هذَا كُلَّ شَيْءٍ وُعِدْتُهُ، حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ، حِينَ رَأَيْتُمُونَي جَعَلْتُ أَتَقَدَّمُ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا، حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ، وَرَأَيْتُ فِيهَا عَمْرَو بْنَ لُحَيٍّ، وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার সূর্যগ্রহণ হলো। আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (সালাতে) দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘ সূরা পাঠ করলেন, অতঃপর রুকূ‘ করলেন, আর তা দীর্ঘ করলেন। অতঃপর রুকূ‘ হতে মাথা তুলেন এবং অন্য একটি সূরা পাঠ করতে শুরু করলেন। পরে রুকূ‘ সমাপ্ত করে সাজদাহ্ করলেন। দ্বিতীয় রাকা‘আতেও এরূপ করলেন। অতঃপর বললেনঃ এ দু’টি (চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ) আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তোমরা তা দেখলে গ্রহণ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সলাত আদায় করবে। আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে, আমাকে যা ওয়া‘দা করা হয়েছে তা সবই দেখতে পেয়েছি। এমনকি যখন তোমরা আমাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেখেছিলে তখন আমি দেখলাম যে, জান্নাতের একটি (আঙ্গুর) গুচ্ছ নেয়ার ইচ্ছে করছি এবং জাহান্নামে দেখতে পেলাম যে, তার একাংশ অন্য অংশকে ভেঙ্গে চুরমার করে ফেলছে। আর যখন তোমরা আমাকে পিছনে সরে আসতে দেখেছিলে আমি দেখলাম সেখানে আম্র ইব্নু লুহাইকে যে সায়িবাহ (এর অর্থ বিমুক্ত, পরিত্যক্ত, বাঁধনমুক্ত। জাহিলী যুগে দেব-দেবীর নামে উট ছেড়ে দেয়ার প্রথা ছিল। এসব উটের দুধ পান করা এবং তাকে বাহনরূপে ব্যবহার করা অবৈধ মনে করা হত।) প্রথা প্রবর্তন করেছিল। (বুখারী পর্ব ২১ : /১১ হাঃ ১২১২, মুসলিম ১০/ ২ হাঃ ৯০১)