১০/১.
সূর্য গ্রহণের সলাত।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ৫২১
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ৫২১
حديث عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَخَرَجَ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ، فَكَبَّرَ، فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً، [ص: 177] ثُمَّ كَبَّرَ، فَرَكَع رُكوعًا طَوِيلاً، ثُمَّ قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، فَقَامَ وَلَمْ يَسْجُدْ، وَقَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً، هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى، ثُمَّ كَبَّرَ وَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً، وَهُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكوعِ الأَوَّلِ؛ ثُمَّ قَالَ: سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ثُمَّ سَجَدَ، ثُمَّ قَالَ فِي الرَّكْعَةِ الآخِرَةِ مِثْلَ ذلِكَ، فَاسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكْعَاتٍ فِي أَرْبَعِ سَجَدَاتٍ، وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ؛ ثُمَّ قَامَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: هُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَافْزَعُوا إِلَى الصَّلاَةِ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবৎকালে একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন তিনি মাসজিদে গমন করেন। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর লোকেরা তাঁর পিছনে সারিবদ্ধ হলো। তিনি তাক্বীর বললেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দীর্ঘ কিরা‘আত পাঠ করলেন। অতঃপর তাক্বীর বললেন এবং দীর্ঘক্ষণ রুকূ‘তে থাকলেন। অতঃপর .............. বলে দাঁড়ালেন এবং সাজদাহ্য় না গিয়েই আবার দীর্ঘক্ষণ কিরা‘আত পাঠ করলেন। তবে তা প্রথম কিরা‘আতের চেয়ে অল্পস্থায়ী। অতঃপর তিনি ‘আল্লাহু আকবার’ বললেন এবং দীর্ঘ রুকূ‘ করলেন, তবে তা প্রথম রুকূ‘র চেয়ে অল্পস্থায়ী ছিল। অতঃপর তিনি বললেনঃ .............. অতঃপর সাজদাহ্য় গেলেন। অতঃপর তিনি পরবর্তী রাকা‘আতেও অনুরূপ করলেন এবং এভাবে চার সাজদাহ্’র সাথে চার রাক‘আত পূর্ণ করলেন। তাঁর সলাত শেষ করার পূর্বেই সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল। অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে আল্লাহ্র যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন এবং বললেনঃ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহ্র নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন মাত্র। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে গ্রহণ হয় না। কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখনই ভীত হয়ে সলাতের দিকে গমন করবে। (বুখারী পর্ব ১৬ : /৪ হাঃ ১০৪৬, মুসলিম ১০/১ হাঃ ৯০১)