আচার-ব্যবহার
৩৮/১.
আবুল ক্বাসেম নামে কুনিয়াত বা উপনাম রাখা মাকরূহ এবং মুস্তাহাব নামসমূহের বর্ণনা।
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ১৩৮০
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ১৩৮০
حديث أَنَس رضي الله عنه، قَالَ: دَعَا رَجُلٌ بِالْبَقِيعِ، يَا أَبَا الْقَاسِمِ فَالْتَفَتَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: لَمْ أَعْنِكَ قَالَ: سَمُّوا بِاسْمِي وَلاَ تَكْتَنُوا بِكُنْيَتِي
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক সাহাবী বাক্বী’ নামক স্থানে আবূল ক্বাসিম বলে (কাউকে) ডাক দিলেন। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকালেন। তিনি বললেন, আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করিনি। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমরা আমার নামে নাম রাখ কিন্তু আমার কুনিয়াতে বা ডাকনামে কারো কুনিয়াত রেখ না। (বুখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৪৯ হাদীস নং ২১২১; মুসলিম ৩৮/১ ২১৩১)
আল লু'লু ওয়াল মারজান : ১৩৮১
আল লু'লু ওয়াল মারজানহাদিস নম্বর ১৩৮১
حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ: وُلِدَ لَرَجُلٍ مِنَّا غُلاَمٌ، فَسَمَّاهُ الْقَاسِمَ فَقَالَتِ الأَنْصَارُ: لاَ نَكْنِيكَ أَبَا الْقَاسِمِ، وَلاَ نُنْعِمُكَ عَيْنًافَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ وُلِدَ لِي غُلاَمٌ، فَسَمَّيْتُهُ الْقَاسِمَ، فَقَالَتِ الأَنْصَارُ: لاَ نَكْنِيكَ أَبَا الْقَاسِمِ، وَلاَ نُنْعِمُكَ عَيْنًافَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَحْسَنَتِ الأَنْصَارُ، سَمُّوا بِاسْمِي، وَلاَ تَكَنَّوْا بِكُنْيَتِي، فَإِنَّمَا أَنا قَاسِمٌ
জাবির ইব্নু ‘আবদুল্লাহ আল-আনসারী (রাঃ হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে এক জনের পুত্র জন্মে। সে তার নাম রাখল কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না।সে ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমার একটি পুত্র জন্মেছে। আমি তার নাম রেখেছি কাসিম। তখন আনসারগণ বললেন, আমরা তোমাকে আবুল কাসিম কুনীয়াত ব্যবহার করতে দিব না এবং এর দ্বারা তোমার চক্ষু শীতল করব না।নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ‘আনসারগণ ঠিকই করেছে। তোমরা আমার নামে নাম রাখ, কিন্তু কুনীয়াতের মত কুনীয়াত ব্যবহার করো না। কেননা, আমি তো কাসিম (বণ্টনকারী)।’ (বুখারী পর্ব ৫৭ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৩১১৫; মুসলিম ৩৮/১ হাঃ ২১৩৩)