পরিচ্ছেদঃ
ঈদগাহে ঈদের সলাত ও জনগণকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেয়া শরীয়তসম্মত
বুলুগুল মারাম : ৪৯৪
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৪৯৪
وَعَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ وَالْأَضْحَى إِلَى الْمُصَلَّى، وَأَوَّلُ شَيْءٍ يَبْدَأُ بِهِ الصَّلَاةُ، ثُمَّ يَنْصَرِفُ فَيَقُومُ مُقَابِلَ النَّاسِ -وَالنَّاسُ عَلَى صُفُوفِهِمْ- فَيَعِظُهُمْ وَيَأْمُرُهُمْ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ‘ঈদুল ফিতর ও ‘ঈদুল আযহার দিন ‘ঈদমাঠে যেতেন এবং সেখানে তিনি প্রথম যে কাজ শুরু করতেন তা হল সলাত। আর সলাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন এবং তাঁরা কাতারে বসে থাকতেন। তিনি তাঁদের নাসীহাত করতেন, উপদেশ দিতেন এবং নির্দেশ দান করতেন। [৫৩০]
[৫৩০] বুখারী ৩০৪, ১৪৬২, ১৯৫১, মুসলিম ৮০, ৮৮৯, নাসায়ী ১৫৭৬, ১৫৭৯, ইবনু মাজাহ ১২৮৮, আহমাদ ১০৬৭৫, ১০৮৭০। পূর্ণাঙ্গ হাদীসটি হচ্ছে, (আরবী) যদি তিনি কোন সেনাদল পাঠাবার ইচ্ছা করতেন, তবে তাদের আলাদা করে নিতেন। অথবা যদি কোন বিষয়ে নির্দেশ জারি করার ইচ্ছা করতেন তবে তা জারি করতেন। অতঃপর তিনি ফিরে যেতেন। আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন, লোকেরা বরাবর এ নিয়মই অনুসরণ করে আসছিল। অবশেষে যখন মারওয়ান মাদীনাহ্র‘আমীর হলেন, তখন সেখানে একটি মিম্বর দেখতে পেলাম, সেটি কাসীর আবনু সালত (রাঃ) তৈরী করেছিলেন। মারওয়ান সলাত আদায়ের পূর্বেই এর উপর আরোহণ করতে উদ্যত হলেন। আমি তাঁর কাপড় টেনে ধরলাম। কিন্তু তিনি কাপড় ছাড়িয়ে খুতবাহ দিলেন। আমি তাকে বললাম, আল্লাহর কসম! তোমরা (রাসূলের সুন্নাত) পরিবর্তন করে ফেলেছ। সে বলল, হে আবূ সা‘ঈদ! তোমরা যা জানতে, তা গত হয়ে গেছে। আমি বললাম, আল্লাহ্র কসম! আমি যা জানি, তা তার চেয়ে ভাল, যা আমি জানি না। সে তখন বলল, লোকজন সলাতের পর আমাদের জন্য বসে থাকে না, তাই ওটা সলাতের আগেই করেছি।