পরিচ্ছেদঃ
খুতবা ও খতীবের কিছু বৈশিষ্ট্য
বুলুগুল মারাম : ৪৫১
বুলুগুল মারামহাদিস নম্বর ৪৫১
وَعَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا خَطَبَ، احْمَرَّتْ عَيْنَاهُ، وَعَلَا صَوْتُهُ، وَاشْتَدَّ غَضَبُهُ، حَتَّى كَأَنَّهُ مُنْذِرُ جَيْشٍ يَقُولُ:«صَبَّحَكُمْ وَمَسَّاكُمْ»، وَيَقُولُ: «أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ خَيْرَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَخَيْرَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ، وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ» رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ: كَانَتْ خُطْبَةُ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - يَوْمَ الْجُمُعَةِ: يَحْمَدُ اللَّهَ وَيُثْنِي عَلَيْهِ، ثُمَّ يَقُولُ عَلَى إِثْرِ ذَلِكَ، وَقَدْ عَلَا صَوْتُهُ وَفِي رِوَايَةٍ لَهُ:«مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَلَا مُضِلَّ لَهُ، وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهُ وَلِلنَّسَائِيِّ: «وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِي النَّارِ
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন খুতবাহ দিতেন তখন তাঁর চোখ দু’টি রক্তিম বর্ণ ধারণ করত ও আওয়াজ উঁচু হত, আর তাঁর ক্রোধ বেড়ে যেত; এমনকি মনে হত তিনি যে কোন শত্রু সৈন্য সম্বন্ধে আমাদেরকে সতর্ক করছেন। আর বলতেন সকাল-সন্ধ্যায় তোমরা আক্রান্ত হবে আর বলতেন-আম্মা বা’দু, উত্তম হাদীস আল্লাহর কিতাব; উত্তম হিদায়াত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর হিদায়াত; নিকৃষ্টতর কাজ হচ্ছে বিদ‘আত, প্রত্যেক বিদ‘আতই হচ্ছে ভ্রষ্টতা। মুসলিমের অন্য বর্ণনায় আছে: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু’আহর দিনে (খুতবায়), আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠের পর পরই উচ্চকন্ঠে বক্তব্য রাখতেন। মুসলিমের ভিন্ন একটি রিওয়ায়াতে আছে-“যাকে আল্লাহ হিদায়াত করেন তাকে গুমরাহ করার কেউ নেই, আর যাকে গুমরাহ করেন তাকে হিদায়াত করার কেউ নেই। আর নাসায়ীতে আছে: প্রত্যেক গুমরাহী হচ্ছে জাহান্নামে যাবার কারণ। [৪৮৯]
[৪৮৯] মুসলিম ৮৬৭, নাসায়ী ১৫৭৮, আবূ দাউদ ২৯৫৪, ২৯৫৬, ইবনু মাজাহ ৪৫, ২৪১৬ আহমাদ ১৫৭৪৪, ১৩৯২৪, ১৪০২২, দারেমী ২০৬। আলবানি হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।