পরিচ্ছদঃ ১৫.

দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৯১২

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يُشِيرُ بِإِصْبَعِه إِذَا دَعَا وَلَا يُحَرِّكُهَا. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ وَالنَّسَائِـيُِّ وَزَادَ أَبُوْ دَاوٗدَ وَلَا يُجَاوِزُ بَصَرُه إِشَارَتَه

আবদুল্লাহ ইবনুয্ যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু, আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন সলাতে বসা অবস্থায় “কালিমায়ে শাহাদাত” দুআ পাঠ করতেন, নিজের শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করতেন, কিন্তু তা নাড়াচড়া করতেন না। [১] আবূ দাঊদ এ শব্দগুলোও নকল করেছেন যে, তাঁর দৃষ্টি ইশারা করার বাইরে অতিক্রম করত না।[2]

1] শা-য : আবূ দাঊদ ৯৮৯, নাসায়ী ১২৭০। সানাদের সকল রাবী বিশ্বস্ত হলেও মুহাম্মাদ ইবনু ‘আজলান-এর মধ্যে স্মৃতিশক্তিজনিত দুর্বলতা রয়েছে। তবে তাঁর হাদীস হাসানের স্তর থেকে নিচে নেমে যাবে না। এজন্য হাকিম (রহঃ) বলেছেনঃ ইমাম মুসলিম (রহঃ) সহীহ মুসলিমে তাঁর ১৩টি হাদীস শাহিদ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে পরবর্তী ‘আলিমগণ তার মুখস্থশক্তির ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইমাম যাহাবী (রহঃ) বলেনঃ সে মুখস্থশক্তির ক্ষেত্রে মধ্যম শ্রেণীভুক্ত। এসব মতামতের ভিত্তিতে হাদীসের সানাদটি যে সহীহ তা সুস্পষ্ট। তবে لَا يُحَرِّكُهَا অংশটুকু শাহ বা মুনকার। কেননা মুহাম্মাদ ইবনু ‘আজ্লান এর উপর স্থির থাকতে পারেনি। তিনি কখনোও তা উল্লেখ করেছেন আবার কখনও করেননি। আর এ অংশটুকু না হওয়ার সঠিক কারণ মুহাম্মাদ ইবনু ‘আজলান ছাড়া অন্য কেউ এ অতিরিক্তাংশটুকু উল্লেখ করেননি। অতিরিক্তাংশটুকু ছাড়াই ইমাম মুসলিম ও অন্যান্যরা তা বর্ণনা করেছেন।[2] হাসান সহীহ : আবূ দাঊদ ৯৯০, নাসায়ী ১২৭০।

সেটিংস

ফন্ট সেটিংস

আরবি ফন্ট ফেস

আরবি ফন্ট সাইজ

২৪

অনুবাদ ফন্ট সাইজ

১৮

আল হাদিস অ্যাপ ডাউনলোড করুন

App Banner

ইসলামের জ্ঞান প্রচারে সহায়ক হোন

আপনার নিয়মিত সহায়তা আমাদের দ্বীনি ভাই-বোনের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছাতে সাহয্য করবে। আমাদের মিশনে আপনিও অংশ নিন এবং বড় পরিবর্তনের অংশীদার হোন।

সাপোর্ট করুন