পরিচ্ছদঃ ১২.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ৮৫৪
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ৮৫৪
وَعَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ كُنَّا خَلْفَ النَّبِيِّ ﷺ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ فَقَرَأَ فَثَقُلَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ لَعَلَّكُمْ تَقْرَءُونَ خَلْفَ إِمَامِكُمْ قُلْنَا نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ لَا تَفْعَلُوا اِلَّا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّه لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوٗدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ مَعْنَاهُ وَفِيْ رِوَايَةٍ لأَبِيْ دَاؤُدَ قَالَ وَأَنَا أَقُوْلُ مَالِيْ يُنَازِعُنِيَ الْقُرْآنُ فَلَا تَقْرَءُوْا بِشَيْءٍ مِن الْقُرْآنِ إِذَا جَهَرْتُ اِلَّا بِأُمِّ الْقُرْآنِ
উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর পিছনে ফাজ্রের সলাতে ছিলাম। তিনি যখন ক্বিরাআত শুরু করলেন, তখন তাঁর তিলাওয়াত করা কষ্টকর ঠেকল। তিনি সলাত শেষ করে বললেন, তোমরা মনে হয় ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়। আমরা আরজ করলাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা ক্বিরাআত পাঠ করি। তিনি বললেন, সূরাহ্ ফাতিহা ছাড়া আর কিছু পাঠ করবে না। কারণ যে ব্যক্তি এ সূরাহ্ পাঠ করবে না তার সলাত হবে না। [১]নাসায়ী এ অর্থে বর্ণনা করেছেন, কিন্তু আবূ দাঊদের আর এক বর্ণনায় আছেঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কি হল কুরআন আমার সাথে এভাবে টানাটানি করছে কেন? আমি যখন সশব্দে ক্বিরাআত পাঠ করি তখন তোমরা সূরাহ্ ফাতিহাহ্ ছাড়া আর কিছু পাঠ করবে না। [2]
[১] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৮২৩, ৮২৪; নাসায়ী ৯১১। আলবানী বলেনঃ لَا تَفْعَلُوا اِلَّا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‘‘আন্ওয়ার শাহ কাশ্মীর-এর ধারণা মতে এ ইবারতের মাধ্যমে ইমামের পিছনে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়া ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় না, বরং জায়িয সাব্যস্ত হয়। কারণ নাসির পরে ইযতিযনা বৈধতার উপকারিতা দেয় কুরআনে যার অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে। যে আরো বিস্তারিত জানতে চায় সে যেন আন্ওয়ার শাহ কাশ্মীরী’র রচিত গ্রন্থ فَيْضُ الْقَدِيْرِ দেখে নেই। আর একটি সহীহ হাদীসের বর্ণনা لَا تَفْعَلُوا اِلَّا أَنْ يَقْرَأَ أَحَدُكُمْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ টি তার সে কথাকেই প্রমাণ করা। অতএব এটি যেন ইমামের পিছনে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ পড়া ওয়াজিব না হওয়ার দলীল। হাদীসটি ইমাম তিরমিযী হাসান বলেছেন। তবে আবূ দাঊদ-এর সানাদটি দুর্বল। কারণ তার সানাদে নাফি‘ ইবনু মাহমূদ ইবনু রাবি‘ রয়েছে যাকে ইমাম যাহাবী অপরিচিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[2] য‘ঈফ : আবূ দাঊদ ৮২৪। কারণ মাকহূল মুদাল্লিস রাবী সে عنعن দিয়ে হাদীস বর্ণনা করে থাকে।