পরিচ্ছদঃ
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ২১৭৬
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ২১৭৬
وَعَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ قَالَ: اِقْرَؤُوْا الْمُنْجِيَةِ وَهِىَ ﴿الٓمٓ تَنْزِيْلُ﴾ فَإِن بَلَغَنِىْ أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَقْرَؤُهَا مَا يَقْرَأُ شَيْئًا غَيْرَهَا وَكَانَ كَثِيرَ الْخَطَايَا فَنَشَرَتْ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ قَالَتْ: رَبِّ اغْفِرْ لَه فَإِنَّه كَانَ يُكْثِرُ قِرَاءَتِى فَشَفَّعَهَا الرَّبُّ تَعَالٰى فِيهِ وَقَالَ: اَكْتُبُوْا لَه بِكُلِّ خَطِيئَةٍ حَسَنَةٍ وَارْفَعُوْا لَه دَرَجَةً.وَقَالَ أَيْضًا: «إِنَّهَا تُجَادِلُ عَنْ صَاحِبِهَا فِى الْقَبْرِ تَقُولُ: اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتُ مِنْ كِتَابِكَ فَشَفِّعْنِىْ فِيهِ وَإِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ كِتَابِكَ فَامْحُنِىْ عَنْهُ وَإِنَّهَا تَكُونُ كَالطَّيْرِ تَجْعَلُ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ فَتَشْفَعُ لَه فَتَمْنَعُه مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ» وَقَالَ فِىْ ﴿تَبَارَكَ﴾ مِثْلَه. وَكَانَ خَالِدٌ لَا يَبِيْتُ حَتّٰى يَقْرَأَهُمَا.وَقَالَ طَاوُوسُ: فُضِّلَتَا عَلٰى كُلِّ سُوْرَةٍ فِى الْقُرْاٰنِ بِسِتِّينَ حَسَنَةً. رَوَاهُ الدَّارِمِىُّ
খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমরা মুক্তিদানকারী সূরা ‘আলিফ লাম মিম তানযীল’ (সূরা আস্ সাজদাহ্) পড়ো। কেননা নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ কথা আমার নিকট পৌঁছেছে যে, এক ব্যক্তি এ সূরা পড়ত, এছাড়া আর কোন সূরা পড়ত না। সে ছিল বড় পাপী মানুষ। এ সূরা তার ওপর ডানা মেলে বলতে থাকত, হে রব! তাকে মাফ করে দাও। কারণ সে আমাকে বেশি বেশি তিলাওয়াত করত। তাই আল্লাহ তা‘আলা তার ব্যাপারে এ সূরার সুপারিশ গ্রহণ করেন ও বলে দেন যে, তার প্রত্যেক গুনাহের বদলে একটি করে নেকী লিখে নাও। তার মর্যাদা বৃদ্ধি করো।তিনি (রাবী) আরো বলেন, এ সূরা কবরে এর পাঠকের জন্য আল্লাহর নিকট নিবেদন করবে, হে আল্লাহ! আমি যদি তোমার কিতাবের অংশ হয়ে থাকি, তুমি তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। আর যদি আমি তোমার কিতাবের অংশ না হয়ে থাকি, আমাকে তোমার কিতাব হতে মুছে ফেলো। (অন্য বর্ণনায় আছে) তিনি বলেন, এ সূরা পাখীর রূপ ধারণ করে এর পাঠকারীর ওপর পাখা মেলে ধরবে ও তার জন্য সুপারিশ করবে। এর ফলে কবর ‘আযাব হতে হিফাযাত করা হবে। বর্ণনাকারী সূরা তাবা-রকাল্লাযী’ (মুল্ক) সম্পর্কেও এ একই বর্ণনা করেছেন। খালিদ এ সূরা দু’টি না পড়ে ঘুমাতেন না।ত্বাউস (রহঃ) বলেন, এ দু’টি সূরাকে কুরআনের অন্য সব সূরা হতে ষাটগুণ অধিক নেকী অর্জনের মর্যাদা দান করা হয়েছে। (দারিমী)[১][২১৭৬ নং উপরোক্ত হাদীসটি মির্‘আতের মূল গ্রন্থে তিনটি আলাদা নম্বরে আনা হয়েছে]
[১] য‘ঈফ : দারিমী ৩৪৫১, ৩৪৫৩। কারণ এর সানাদে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সলিহ একজন দুর্বল রাবী। আর এটি খালিদ ইবনু মা‘দান-এর ওপর মাওকূফ।