পরিচ্ছদঃ ৬.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৯১৮
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৯১৮
وَعَنْ أَبِىْ جُرَيٍّ جَابِرِ بْنِ سُلَيْمٍ قَالَ: أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَرَأَيْتُ رَجُلًا يَصْدُرُ النَّاسُ عَنْ رَأْيِهِ لَا يَقُولُ شَيْئًا إِلَّا صَدَرُوا عَنْهُ قُلْتُ مَنْ هذَا قَالُوا: هذَا رَسُولُ اللّهِ ﷺ قُلْتُ: عَلَيْكَ السَّلَامُ يَا رَسُولَ اللّهِ مَرَّتَيْنِ قَالَ: «لَا تقل عَلَيْك السَّلَام فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلَامُ تَحِيَّةُ الْمَيِّتِ قُلِ السَّلَامُ عَلَيْكَ» قُلْتُ: أَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ؟ قَالَ: «أَنا رَسُول الله الَّذِىْ إِذا أَصَابَكَ ضُرٌّ فَدَعَوْتَه كَشَفَه عَنْكَ وَإِنْ أَصَابَكَ عَامُ سَنَةٍ فَدَعَوْتَه أَنْبَتَهَا لَكَ وَإِذَا كُنْتَ بِأَرْضِ قُفَرَاءَ أَوْ فَلَاةٍ فَضَلَّتْ رَاحِلَتُكَ فَدَعَوْتَه رَدَّهَا عَلَيْكَ» . قُلْتُ: اعْهَدْ إِلَيَّ. قَالَ: «لَا تَسُبَّنَّ أَحَدًا» قَالَ فَمَا سَبَبْتُ بَعْدَه حُرًّا وَلَا عَبْدًا وَلَا بَعِيرًا وَلَا شَاةً. قَالَ: «وَلَا تَحْقِرَنَّ شَيْئًا مِنَ الْمَعْرُوفِ وَأَنْ تُكَلِّمَ أَخَاكَ وَأَنْتَ مُنْبَسِطٌ إِلَيْهِ وَجْهُكَ إِنَّ ذلِكَ مِنَ الْمَعْرُوفِ وَارْفَعْ إِزَاَرَكَ إِلَى نِصْفِ السَّاقِ فَإِنْ أَبَيْتَ فَإِلَى الْكَعْبَيْنِ وَإِيَّاكَ وَإِسْبَالَ الْإِزَارِ فَإِنَّهَا مِنَ الْمَخِيلَةِ وَإِنَّ اللّهَ لَا يُحِبُّ الْمَخِيلَةَ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ وَعَيَّرَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيْكَ فَلَا تُعَيِّرْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ فَإِنَّمَا وَبَالُ ذلِكَ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ مِنْهُ حَدِيثَ السَّلَامِ. وَفِي رِوَايَةٍ: «فَيَكُونَ لَكَ أَجْرُ ذلِكَ وَوَبَالُه عَلَيْهِ
আবূ জুরাই জাবির ইবনু সুলায়ম (রহঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার মাদীনায় এলাম, দেখলাম লোকেরা এক ব্যক্তির মতামত ও জ্ঞানবুদ্ধির উপর নির্ভরশীল। সে ব্যক্তি যা বলছে, মানুষ সে অনুযায়ী কাজ করছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? লোকেরা বলল, ইনি আল্লাহর রসূল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি (তাঁর খিদমাতে হাযির হয়ে) দু‘বার বললাম, ‘আলায়কাস্ সালা-ম’। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ ‘আলায়কাস সালা-ম’ বলো না। কারণ ‘আলায়কাস সালা-ম’ হলো মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ। বরং বলো, ‘আসসালা-মু আলায়কা। এরপর আমি বললাম, আপনি কি আল্লাহর রসূল? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি আল্লাহর রসূল। ওই আল্লাহর, যিনি কোন বিপদ-আপদে তুমি তাঁকে ডাকলে তিনি তা দূর করে দেন। তুমি যদি দুর্ভিক্ষে পতিত হয়ে তাঁকে ডাকো, তাহলে তিনি জমিনে তোমার জন্য সবুজ ফসল ফলিয়ে দেবেন। তৃণ ও প্রাণহীন কোন মরুপ্রান্তরে অথবা ময়দানে যখন থাকো এবং সেখানে তোমার বাহন হারিয়ে গেলে তুমি তাঁকে ডাকো, তিনি তা তোমাকে ফিরিয়ে দেবেন। জাবির (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আমাকে কিছু নসীহাত করুন। তিনি বললেন, কাউকে গালমন্দ করো না। আবূ জুরাই বলেন, এরপর আমি আর কাউকে গালমন্দ করিনি-মুক্ত ব্যক্তিকে, গোলামকে, উট এবং বকরী কাউকেই নয়। (এরপর) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ কোন নেক কাজকে তুচ্ছ মনে করো না। যখন তোমার কোন ভাইয়ের সাথে কথাবার্তা বলবে তখন হাসিমুখে বলবে, এটাও নেক কাজের অংশ। তুমি তোমার পাজামা-লুঙ্গী হাঁটুর নীচ পর্যন্ত উঠিয়ে পড়বে। এতটুকু উঁচুতে উঠাতে না চাইলে টাখনুদ্বয়ের উপরে রেখে পড়বে। কাপড় টাখনুর নীচে ছেড়ে দেয়া সম্পর্কে সাবধান, কারণ টাখনুর নীচে কাপড় পড়া অহংকারের লক্ষণ। আল্লাহ তা‘আলা অহংকার পছন্দ করেন না। কেউ তোমাকে গালি দিলে এবং তোমার এমন কোন দোষের জন্য লজ্জা দিলে যা তোমার মধ্যে আছে বলে সে জানে, তাহলে তুমি (প্রতিশোধ নিতে) তার কোন দোষের জন্য তাকে লজ্জা দেবে না, যা তুমি জানো। কারণ তার গুনাহের ভাগী সে হবে। (আবূ দাঊদ; তিরমিযী এ হাদীসটি প্রথমাংশ অর্থাৎ ‘আসসালা-ম’ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীর অপর এক বর্ণনায়, “ফায়াকূনু লাকা আজরু যা-লিকা, ওয়া ওয়াবা-লুহূ ‘আলাইহি” [তাহলে এর প্রতিদান তুমি পাবে এবং এর খারাপ পরিণতি তার উপর বর্তাবে] পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন।) [১]
[১] সহীহ : আবূ দাঊদ ৪০৮৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২১০৯৩, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ১১০৯, সহীহ আত্ তারগীব ২৬৮৭, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৭৩০৯।