পরিচ্ছদঃ ৫৩.
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৫১৯
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৫১৯
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَا هَبَّتْ رِيحٌ قَطُّ إِلَّا جَثَا النَّبِيُّ ﷺ على رُكْبَتَيْهِ وَقَالَ: «اللّهُمَّ اجْعَلْهَا رَحْمَةً وَلَا تَجْعَلْهَا عَذَابًا اللّهُمَّ اجْعَلْهَا رِيَاحًا وَلَا تَجْعَلْهَا رِيحًا» . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فِي كِتَابِ اللّهِ تَعَالى: ﴿إِنَّا أرْسَلْنَا عَلَيْهِمْ رِيْحًا صَرْصَرًا﴾ [القمر 54 : 19]، و ﴿أَرْسَلْنَا عَلَيْهِمُ الرِّيْحَ الْعَقِيْمَ﴾ [الذاريات 51 : 41] ﴿وَأَرْسَلْنَا الرِّيَاحَ لَوَاقِحَ﴾ [الحجر 15 : 22] و ﴿أَنْ يُّرْسِلَ الرِّيَاحَ مُبَشِّرَات﴾ [الروم 30 : 46]. رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «الدَّعْوَاتِ الْكَبِيْرِ
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, বাতাস প্রবাহিত হওয়া শুরু করলে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাঁটু ঠেক দিয়ে বসতেন আর বলতেন, “হে আল্লাহ! এ বাতাসকে তুমি রহমাতে রূপান্তরিত করো। আযাবে পরিণত করো না। হে আল্লাহ! একে তুমি বাতাসে পরিণত করো। ঝড়-তুফানে পরিণত করো না। “ইবনু ‘আব্বাস বলেন, আল্লাহর কিতাবে রয়েছেঃ আমি তাদের উপর পাঠিয়েছিলাম প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি”-(সূরাহ্ আল ক্বামার ৫৪ : ১৯)। “আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণকর বাতাস”-(সূরাহ্ আয্ যা-রিয়া-ত ৫১ : ৪১)। “আমি বৃষ্টি-সঞ্চারী বাতাস প্রেরণ করি’-(সূরাহ্ আল হিজর ১৫ : ২২)। “তিনি বায়ু প্রেরণ করেন সুসংবাদ দানের জন্য”-(সূরাহ্ আর্ রূম ৩০ : ৪৬)। (শাফি’ঈ, বায়হাক্বীর দা’ওয়াতুল কাবীর) [১]
[১] খুবই দুর্বল : মুসনাদ আশ্ শাফি‘ঈ ৫০২, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ৩৬৯, য‘ঈফ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪৪৬১। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, হাদীসের সানাদে আল ‘আলা বিন রাশিদ একজনে অপরিচিত রাবী এবং তার সাগরেদ ইব্রাহীম বিন আবী ইয়াহ্ইয়া একজন মিথ্যার অপবাদপ্রাপ্ত রাবী।