পরিচ্ছদঃ ৩৯.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১৩২৩
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১৩২৩
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللّهِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ يُعَلِّمُنَا الِاسْتِخَارَةَ فِي الْأُمُورِ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْانِ يَقُولُ: «إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالْأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيْضَةِ ثُمَّ لْيَقُلْ: اَللّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّك تَقْدِرُ وَلَا أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ اَللّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الْأَمْرَ خَيْرٌ لِّىْ فِىْ دِينِىْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِىْ - أَوْقَالَ فِىْ عَاجِلِ أَمْرِىْ وَاجِلِه - فَاقْدُرْهُ لِىْ وَيَسِّرْهُ لِىْ ثُمَّ بَارِكْ لِىْ فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هذَا الْأَمْرَ شَرٌّ لِّىْ فِىْ دِينِىْ وَمَعَاشِىْ وَعَاقِبَةِ أَمْرِىْ - أَوْ قَالَ فِىْ عَاجِلِ أَمْرِىْ وَاجِلِه - فَاصْرِفْهُ عَنِّىْ وَاصْرِفْنِىْ عَنْهُ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِىْ بِه». قَالَ: «وَيُسَمِّيْ حَاجَتَه» . رَوَاهُ البُخَارِيُّ
জাবির (রাঃ) ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদেরকে (আল্লাহর নিকট) ‘ইস্তিখারাহ্’ করার নিয়ম ও দু’আ এ রকম শিখাতেন, যেভাবে আমাদেরকে তিনি কুরআনের সূরাহ্ শিখাতেন। তিনি বলতেন, তোমাদের কোন লোক কোন কাজ করার সংকল্প করলে সে যেন ফার্য সলাত ব্যতিত দু’ রাক্‘আত নাফল সলাত আদায় করে। তারপর এ দু’আ পড়ে- “আল্ল-হুম্মা ইন্নি আস্তাখীরুকা বি‘’ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিকুদরাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাযলিকাল ‘আযীমি ফাইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা- আক্বদিরু ওয়া তা‘লামু ওয়ালা- আ‘লামু ওয়া আনতা ‘আল্লা-মুল গুয়ূব, আল্লা-হুম্মা ইন্না কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা খায়রুল লী ফী দীনী ওয়ামা ‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতী আমরী আও ক্বা-লা ফী ‘আ-জিলি আমরী ওয়া আ-জিলিহী ফাক্বদুরহু লী ওয়া ইয়াসসিরহু লী সুম্মা বা-রিক লী ফিহি ওয়া ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুল লী ফি দীনি ওয়ামা ‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতী আমরী আও ক্বা-লা ফী ‘আ-জিলি আমরী ওয়া আ-জিলিহী ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফ্নী ‘আন্হু ওয়াক্ব দুরলিয়াল খয়রা হায়সু কা-না সুম্মা আরযিনী বিহী” (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমারই জানার ভিত্তিতে তোমার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। তোমার কুদরতের দ্বারা তোমার নিকট নেক ‘আমাল করার শক্তি প্রার্থনা করছি। তোমার নিকট তোমার মহা ফজল চাই। এজন্য তুমি সকল কাজের শক্তি দাও। আমি তোমার ইচ্ছা ব্যতিত কোন কাজ করতে পারব না। তুমি সব কিছুই জানো। আমি কিছুই জানি না। সব গোপন কথা তোমার জানা। হে আল্লাহ! তুমি যদি ইচ্ছা কর এ কাজটি (উদ্দেশ্য) আমার জন্য আমার দীনে, দুনিয়ায়, আমার জীবনে, আমার পরকালে অথবা বলেছেন, এ দুনিয়ায় ঐ দুনিয়ায় ভাল হবে, তাহলে তা আমার জন্যে ব্যবস্থা করে দাও। আমার জন্য তা সহজ করে দাও। তারপর আমার জন্য বারাকাত দান করো। আর তুমি যদি এ কাজকে আমার জন্য আমার দীন, আমার জীবন, আমার পরকাল অথবা বলেছেন, আমার ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ মনে করো, তাহলে আমাকে তার থেকে, আর তাকে আমার থেকে ফিরিয়ে রাখো। আর আমার জন্যে যা কল্যাণকর তা করে দাও। অতঃপর এর সঙ্গে আমাকে রাজী করো।) হাদীস বর্ণনাকারী বলেন, ‘এ কাজটি’ বলার সময় দরকারের ব্যাপারটি স্মরণ করতে হবে। (বুখারী) [১]
[১] সহীহ : বুখারী ১১৬২, ৬৩৮২, ৭৩৯০, আবূ দাঊদ ১৫৩৮, আত্ তিরমিযী ৪৮০, ইবনু মাজাহ্ ১৩৮৩, নাসায়ী ৩২৫২, আহমাদ ১৪৭০৭, ইবনু হিব্বান ৮৮৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৪৯২১, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০১৬, সহীহ আত্ তারগীব ৬৮২, সহীহ আল জামি‘ ৮৭৭।