পরিচ্ছদঃ ৪.
প্রথম অনুচ্ছেদ
মিশকাতুল মাসাবিহ : ১২৬
মিশকাতুল মাসাবিহহাদিস নম্বর ১২৬
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا وُضِعَ فِي قَبْرِه وَتَوَلّى عَنْهُ أَصْحَابُه وَإِنَّه لَيَسْمَعُ قَرْعَ نِعَالِهِمْ أَتَاهُ مَلَكَانِ فَيُقْعِدَانِه فَيَقُولَانِ مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هذَا الرَّجُلِ؟ لِمُحَمَّدٍ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَيَقُولُ أَشْهَدُ أَنَّه عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُه فَيُقَالُ لَهُ انْظُرْ إِلى مَقْعَدِكَ مِنْ النَّارِ قَدْ أَبْدَلَكَ اللّهُ بِه مَقْعَدًا مِنْ الْجَنَّةِ فَيَرَاهُمَا جَمِيعًا وَأَمَّا الْمُنَافِقُ وَالْكَافِرُ فَيُقَالُ لَه مَا كُنْتَ تَقُولُ فِي هذَا الرَّجُلِ؟ فَيَقُولُ لَا أَدْرِي كُنْتُ أَقُولُ مَا يَقُولُ النَّاسُ فَيُقَالُ لَا دَرَيْتَ وَلَا تَلَيْتَ وَيُضْرَبُ بِمَطَارِقَ مِنْ حَدِيدٍ ضَرْبَةً فَيَصِيحُ صَيْحَةً يَسْمَعُهَا مَنْ يَلِيهِ غَيْرَ الثَّقَلَيْنِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَلَفْظُه لِلْبُخَارِىِّ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দাকে যখন ক্ববরে রেখে তার সঙ্গীগণ (আত্নীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব) সেখান থেকে চলে আসে, আর তখনও সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায়। তার নিকটে (ক্ববরে) দু’জন মালাক (ফেরেশতা) পৌছেন এবং তাকে বসিয়ে প্রশ্ন করেন, তুমি দুনিয়াতে এই ব্যক্তির [ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ] ব্যাপারে কী জান? এ প্রশ্নের উত্তরে মু’মিন বান্দা বলে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিঃসন্দেহে আল্লাহ্র বান্দা ও তাঁর রসূল। তখন তাকে বলা হয়, ঐ দেখে নাও, তোমার ঠিকানা জাহান্নাম কিরূপ (জঘন্য) ছিল। তারপর আল্লাহ্ তা‘আলা তোমার সে ঠিকানা (জাহান্নাম) জান্নাতের সাথে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তখন সে বান্দা দু’টি ঠিকানা (জান্নাত-জাহান্নাম) একই সঙ্গে থাকবে। কিন্তু মুনাফিক্ব ও কাফিরকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, দুনিয়াতে এ ব্যক্তি [মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] সম্পর্কে তুমি কি ধারণা পোষণ করতে? তখন সে উত্তর দেয়, আমি বলতে পারি না (প্রকৃত সত্য কী ছিল)। মানুষ যা বলত আমিও তাই বলতাম। তখন তাঁকে বলা হয়, তুমি বিবেক বুদ্ধি দিয়েও বুঝতে চেষ্টা করনি এবং (আল্লাহ্র কুরআন) পড়েও জানতে চেষ্টা করনি। এ কথা বলে তাকে লোহার হাতুড়ি দিয়ে কঠিনভাবে মারতে থাকে, এতে সে তখন উচ্চস্বরে চিৎকার করতে থাকে। এ চীৎকারের শব্দ (পৃথিবীর) জিন আর মানুষ ছাড়া নিকটস্থ সকলেই শুনতে পায়। [১](মুত্তাফাকুন ‘আলায়হিঃ বুখারী ১৩৭৪, মুসলিম ২৮৭০)
[১] সহীহ : বুখারী ১৩৭৪, মুসলিম ২৮৭০, নাসায়ী ২০৫১, আহমাদ ১২২৭১, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩১২০, সহীহ আল জামি‘ ১৬৭৫, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৫৫।